1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

করোনার প্রতি টিকায় বেক্সিমকোর মুনাফা ৭৭ টাকা

  • Update Time : রবিবার, ২ মে, ২০২১
  • ২৪৪ Time View

প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক : ভারত থেকে করোনার টিকা এনে প্রতি টিকায় প্রায় ৭৭ টাকা মুনাফা করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর টিকাপ্রতি এ মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বাংলাদেশে আমদানির জন্য চুক্তিবদ্ধ একমাত্র প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা। বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও কোম্পানিটির মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় এ টিকা আমদানি করা হচ্ছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনবে। এ তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এনেছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ টিকা বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ করেছে। ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ টিকা আনার কথা থাকলেও বর্তমানে ভারত থেকে করোনার টিকা আসা বন্ধ রয়েছে। ভারত সরকার টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আপাতত দেশে সেরামের কোনো টিকা আসছে না।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মা তাদের চলতি বছরে প্রথম তিন মাস, তথা জানুয়ারি-মার্চ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছর তথা ২০২০ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনার টিকার বাড়তি আয় থেকে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি সরকারকে ৫০ লাখ করোনার টিকা সরবরাহ করে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর এ মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। তাতে প্রতি টিকায় মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা বা প্রায় ৭৭ টাকা।

কোম্পানিটি সরকারকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করলেও মুনাফা হিসেবে যুক্ত হয়েছে ৫০ লাখ টিকার হিসাব। কারণ হিসেবে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারকে আমরা ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করেছি ঠিকই; কিন্তু উল্লেখিত সময়ে (জানুয়ারি-মার্চ) ৫০ লাখ টিকার আয় হিসাবে যুক্ত হয়েছে। ২০ লাখ টিকা এপ্রিলে সরবরাহ করা হয়েছে। তাই সেই আয় এ প্রান্তিকের হিসাবে যুক্ত হয়নি।’

এদিকে করোনার টিকার আয়ের পাশাপাশি বেক্সিমকোর চলমান ওষুধের ব্যবসার আয়ও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ওষুধ রপ্তানি করে প্রাপ্ত নগদ সহায়তার পরিমাণও।

করোনার টিকা সরবরাহের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি এত দিন কোনো পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়নি। ফলে, ভারত থেকে টিকা এনে বেক্সিমকো কত মুনাফা করছে, তার কোনো হিসাবও পাওয়া যায়নি। যদিও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে চুক্তিটি প্রকাশের দাবি করা হয়েছিল।

তাতে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছর তথা ২০২০ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনার টিকার বাড়তি আয় থেকে। পাশাপাশি ছিল ওষুধের ব্যবসা ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি থেকে অর্জিত মুনাফা।

করোনার টিকা সরবরাহের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি এত দিন কোনো পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়নি। ফলে, ভারত থেকে টিকা এনে বেক্সিমকো কত মুনাফা করছে, তার কোনো হিসাবও পাওয়া যায়নি। যদিও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে চুক্তিটি প্রকাশের দাবি করা হয়েছিল। এমনকি এককভাবে বেক্সিমকোকে টিকা আমদানির সুযোগ দেওয়া নিয়ে দেশে চলছিল নানা সমালোচনা। সম্প্রতি টিকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সমালোচনা আরও বেশি শক্ত ভিত পেয়েছে।

আরও পড়ুনটিকার জন্য চাপ ও হুমকিতে ব্রিটেন পালালেন সেরামের সিইও!

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..