দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালনকালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন পুলিশের আরেক সদস্য রঘুনাথ রায় (৪৮)।
তিনি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ছিলেন। রঘুনাথ ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগের আলফা কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার (৬ মে) ডিএমপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদটি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে করোনাযুদ্ধে রঘুনাথ রায়ের মৃত্যুতে পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। একই সঙ্গে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যেয়ে সহকর্মীর এমন আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গর্বিত।
রঘুনাথ রায়ের করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। বুধবার (৬ মে ) সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
জীবন উৎসর্গকারী পুলিশযোদ্ধা রঘুনাথ রায়ের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় পুলিশযোদ্ধা রঘুনাথ রায়ের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী তার মৃত্যু পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৬ সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই সুলতানুল আরেফিন, কনস্টেবল আশেক মাহমুদ, এএসআই আবদুল খালেক, কনস্টেবল জসিম উদ্দিন এবং পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সহকারী উপ-পরিদর্শক নাজির উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন