প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ মহামারীতে চাকরি হারানো লাখ লাখ মানুষের জীবনে ভয়াবহ প্রভাব পড়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও। জরুরি ভিত্তিতে সরকারি সহায়তা না পেলে তরুণ জনগোষ্ঠীর অবস্থা ভয়াবহ হবে বলেও জানায় সংস্থাটি। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এসব তথ্য প্রকাশ করে আইএলও।
আরো জানতে পড়ুনঃ
করোনা মহামারীতে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চলা লকডাউন আর বিধিনিষেধে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এসব মানুষকে নিয়ে করা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, অন্তত ১১২টি দেশে ২৪ বছর বয়সী তরুণের প্রতি ৬ জনের ১ জনকে কাজ কিংবা পড়াশোনা করা বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থা বলছে, নিম্ন-মধ্য আয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা কিংবা প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে হয়েছে।
আইএলও কর্মসংস্থান নীতি নির্ধারণী অধিদপ্তরের পরিচালক সাঙ্ঘিওন লি বলেন, কোভিড নাইনটিন মহামারীতে তরুণ জনগোষ্ঠীর মাঝে দীর্ঘমেয়াদী আর গভীর প্রভাব পড়েছে। তরুণ উদ্যোক্তা, নিম্ন আয়ের দেশের মানুষের ওপর এর প্রভাব তো ভয়াবহ। জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে লকডাউন জেনারেশনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে।
এক্ষেত্রে চাকরি হারানো তরুণ জনগোষ্ঠীকে শ্রম বাজারের অন্তর্ভুক্ত করা, বেকারভাতা দেয়া আর প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে আইএলও।
সাঙ্ঘিওন লি আরও বলেন, বেশি সংক্রমিত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মসংস্থান, সবকিছুই স্থবির হয়ে গেছে। ১৭ শতাংশ মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। শুধু চাকরি যাওয়াই হতাশা নয়, সারাক্ষণ এটা নিয়ে ভয়ে থেকেও মানুষ হতাশ হচ্ছে।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, মহামারীতে উন্নয়নশীল আর অনুন্নত দেশগুলোর প্রতি ৮ শিক্ষার্থীর একজন শিক্ষা গ্রহণের কোন সুযোগ পাননি। কিন্তু ধনী দেশগুলোতে মহামারী জুড়েই ছিলো অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন