দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনা মহামারির মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কোথাও মহাভোজের আয়োজনে বিদায় জানানো হচ্ছে করোনাকে, কোথাও খুলছে পর্যটনকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সবক্ষেত্রেই রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার কড়াকড়ি।
করোনাকে বিদায় জানাতেই আয়োজন এই মহাভোজের। মঙ্গলবার চেক প্রজাতন্ত্রের চার্লস ব্রিজে প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ টেবিলে রাতের খাবার খাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয় জনসাধারণকে। অভ্যন্তরীণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলেও পর্যটকদের জন্য এখনই খুলছে না দেশটির সীমান্ত।
একজন স্থানীয় বলেন, এখন আর আমাদের ঘরে থাকতে হবে না। আতঙ্কে দিন কাটাতে হবে না। মহামারিকে বিদায় জানাচ্ছি। আশা করি এ দুঃসময় আর কখনো ফিরবে না।
দীর্ঘ তিন মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে কায়রোর গিজা পিরামিড চত্বর এবং মিশর জাদুঘর। তবে প্রবেশে মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। বিমানবন্দর ও অভ্যন্তরীণ যান চলাচল শুরু হয়েছে আগেই। পর্যটন নির্ভর মিশরের জিডিপির ১২ শতাংশই আসে এখাত থেকে। তাই করোনার কারণে ধসে পড়া অর্থনীতি চাঙা করতে সবকিছু খুলে দেয়া হচ্ছে।
আরেকজন বলেন, বন্ধ থাকার সময় আমরা কিছু সংস্কার কাজ করেছি। স্মৃতিস্তম্ভ, পিরামিড সাজানো হয়েছে। নতুনভাবে পর্যটকদের জন্য সবকিছু উপস্থাপন করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি।
ক্লাসরুমে ফিরেছে থাইল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা। তিন মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর পহেলা জুলাই স্কুল খুললেও, পরিস্থিতি আগের মতো নয়। কঠোরভাবে মানতে হচ্ছি স্বাস্থ্যবিধি।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, আশপাশের অনেক কিছু পাল্টে গেছে। পরিবর্তিত বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বোঝাতে হবে এটাই এখন জীবন। পৃথিবী পাল্টে গেছে।
চারমাস বন্ধ থাকার পর খুলেছে জাপানের ডিজনিল্যান্ডও। পার্কে প্রবেশের পর দর্শনার্থীদের পড়তে হচ্ছে মাস্ক। মানতে হচ্ছে হাত ধোয়ার নিয়ম। টিকিটও কাটতে হচ্ছে অনলাইন। এছাড়া তিন মাসের বেশি সময় পর পেরুতে খুলেছে শপিং মল।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন