সৈয়দ মোঃ শামীম, সিলেট প্রতিনিধি: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ঠেকাতে মাঠে নেমেছে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন।ইতোমধ্যেই তিনি জনসাধারণকে সচেতন ও ঘরমুখি করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের সফল ও জনবান্ধব এই কর্মকর্তা।মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তিনি ১১ মাসের শিশুকে ঘরে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনিই হচ্ছেন জৈন্তাপুর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা পারভীন। এছাড়া তাঁর ৩ বছর বয়সী এক শিশু সন্তানও রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও বাজার তদারকি, কৃষকের ধান কাটার শ্রমিক যোগানদান, মানুষজনকে সচেতন করতে জৈন্তাপুর উপজেলা জুড়ে নিয়মিত হাট বাজার মনিটরিং, টিসিবির খাদ্যদ্রব্য বিক্রির সময় মনিটরিং ও পরিদর্শন করে যাচ্ছেন তিনি।জানা গেছে, করোনা মোকাবিলায় শিশু সন্তানদের বিশেষ করে দুধের শিশুকে বাসায় রেখে মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত নিরলসভাবে কাজ করতে হচ্ছে এ কর্মকর্তাকে। মা নিজ কর্মস্থলে করোনা যুদ্ধের দায়িত্ব পালন করায় মায়ের আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত দুই সন্তান।
তিনি জনগণের কাছে গিয়ে সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ করছেন। শিশু সন্তান রেখে কর্মস্থলে সাধারণ মানুষের জন্য তার এ যুদ্ধকে প্রশংসনীয় বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন করোনা প্রতিরোধে যে ভূমিকা রেখে চলেছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও মানবিকতার সাথে এই করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন। এই করোনা সঙ্কটের সময়ে যে সব মুক্তিযোদ্ধা ইন্তেকাল করেছেন তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতেও তিনি ছুটে গেছেন। স্থানীয়রা আরো জানান, করোনা ছাড়াও জৈন্তাপুরে টিলা রক্ষা, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা, বাল্য বিবাহ বন্ধ, ভেজাল খাদ্য নিরোধ, মাদক নির্মূল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইতোপূর্বে প্রশংসিত হয়েছেন।কবির নামের একব্যক্তি বলেন, আমাদের ইউএনও নাহিদা পারভীন বাসায় দুই শিশু সন্তান রেখে জৈন্তাপুরবাসীকে করোনা থেকে বাঁচাতে বিরামহীন কাজ করে চলেছেন। তার এ পরিশ্রম জৈন্তাপুরবাসীর নজর কেড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন প্রতিবেদককে জানান, সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম কাজী এমদাদুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনা ও তদারকিতে জৈন্তাপুরে করোনা মোকাবিলায় আমি কাজ করে যাচ্ছি। দেশ ও সমাজে তথা রাষ্ট্রকে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান এ পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত সমস্যার চেয়ে জনস্বার্থ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি।তিনি আরো জানান-“করোনা ভয়কে উপক্ষো করে দেশপ্রেম, সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধ থেকে উপজেলাধীন সকল হাট-বাজারসহ প্রতিটি মসজিদ, ইউনিয়নে সচেতনতার কাজ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শেষ করে বাচ্চার কাছে যাওয়া হয়। বর্তমান নিজ অবস্থানে থেকে আমার কাছে জৈন্তাপুরের মানুষই সবকিছু, তাদের রক্ষার্থে ও মঙ্গলে আমি সব কিছু উৎসর্গ করতে পারি। সাধারন জনগণের ভালোবাসা নিয়েই সবসময় কাজ করার আমার মুল উদ্ধেশ্য।