তুমার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক রোগীর ক্ষেত্রে সিলেটের জন্য যেন এক মূর্তিমান ‘অভিশাপ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জ। ঢাকার পরে নারায়ণগঞ্জই হচ্ছে বেশি করোনাভাইরাস ছড়ানো শহর। এ শহরে ঢাকার পরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেশি। আর সেই নারায়ণগঞ্জ থেকে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করেছেন শত শত পোশাকশ্রমিক। এদের নিয়ে সিলেটজুড়ে দেখা দিয়েছে এক অজানা আতঙ্ক।
জানা গেছে, গতকাল হবিগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি নারয়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ এসেছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে আসার পথে চেকপোস্ট থেকে পুলিশ গাড়িসহ ১৬ জনকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে রাখা হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। এর মধ্যে একজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অপরদিকে, সিলেটের সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিকাংশ লোক কাজ করছেন নারায়নগঞ্জে। শুধু সুনামগঞ্জ নয়, সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার লোকজনও পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করছের নারায়নগঞ্জে। পোশাক শ্রমিকের পেশায় নিয়োজিত এইসব শ্রমিকরা এখন বাড়ি ফিরছে নির্বিঘ্নে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতা থাকার পরও গণপরিবহনের মাধ্যমে বাড়ি ফিরছেন শ্রমিকরা।
সুনামগঞ্জ অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে শতাধিক পোশাক শ্রমিক প্রবেশ করেছেন নারায়নগঞ্জ থেকে। খবর পেয়ে প্রশাসন ওইসব শ্রমিকের বাড়িতে লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে দিলেও এখনও আগমন বন্ধ করা যায়নি। ফলে সুনামগঞ্জসহ পুরো সিলেট বিভাগে আতঙ্ক ক্রমেই বেড়ে চলেছে।