স্পোর্টস ডেস্ক: দেশের ক্রিকেটের অনেক ভেতরের খবরও তিনি মিডিয়ায় অবলীলায় বলে ফেলেন। জাতীয় দল নির্বাচন, ক্রিকেটার বাছাই থেকে শুরু করে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, লক্ষ্য-পরিকল্পনা, টিম স্ট্র্যাটেজি, কম্বিনেশন, ফরমেশন এমনকি ব্যাটিং অর্ডারের মত গোপন বিষয়গুলোও গোপন থাকে না, যখন বিসিবি সভাপতি মিডিয়ায় কথা বলেন।
কিন্তু সেই তিনি মানে নাজমুল হাসান পাপন সাকিব আর তামিমের পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে একটি কথাও বলেননি এখনও। বোঝাই যায়, বিশ্বকাপের আগে নিজেদের মধ্যে এই কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধে মুখ বন্ধ রেখেছেন বিসিবি বিগ বস।
ওদিকে ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজার, টিম ডিরেক্টর সবার মুখেও তালা। বর্তমানে ভারতের গুয়াহাটিতে অবস্থানরত টিম বাংলাদেশের কোনো সদস্যের সঙ্গেই কথা বলা যাচ্ছে না। মুঠোফোনে কল দিলে ধরছেন না কেউই। আর কল রিসিভ করলেও সৌজন্যতা বিনিময় ছাড়া কিছুই বলছেন না।
এমনকি টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সোমবারের প্র্যাকটিস ম্যাচ নিয়ে এবং অধিনায়ক সাকিব, নাজমুল শান্ত ও মোস্তাফিজের খেলা সম্পর্কে কোনো প্রশ্নর জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
তবে কি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ক্রিকেটার-কোচদের কথা বলা নিষেধ? এখনও ঢাকায় অবস্থানরত বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধান জালাল ইউনুসের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে তিনি জানান, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা বোর্ড কর্তারাই চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানে পরিবেশ-পরিস্থিতিটা শান্ত রাখতেই আমরা কেউ মিডিয়ায় কথাবার্তা বলছি না।’
জালাল যোগ করেন, ‘সেটা কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। উদ্ভূত পরিবেশ-পরিস্থিতির (তামিম ও সাকিবের কাঁদা ছোড়াছুড়ি) আলোকে।’
তবে কি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সদস্য ও কোচদেরও কথা বলা বারণ? জালালের জবাব, ‘সেটা আমার জানা নেই। এখন জাতীয় দলের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে টিম ডিরেক্টর, তার সাথে কথা বলে জানতে হবে, গুয়াহাটিতে ক্রিকেটারদের কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে কিনা।’