কানাডা সরকার দেশটিতে পড়াশোনা শেষ করে অবস্থান করা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে দেশটিতে চাকরি খুঁজতে আরও দেড় বছর নির্বিঘ্নে থাকতে পারবেন তারা। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী- আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে নতুন ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসে আগ্রহী করে তুলতেই জাস্টিন ট্রুডো সরকারের এমন উদ্যোগ।
মাল্টি-কালচারালিজমের দেশ কানাডা বরাবরই অভিবাসন প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে নমনীয়। দেশটির ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসেবে অনুযায়ী— প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসীপ্রত্যাশী কানাডায় পাড়ি জমান। এছাড়াও বিদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য রয়েছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।
কানাডায় বিদ্যমান ওয়ার্ক পারমিট পদ্ধতির আওতায় পোস্টগ্র্যাজুয়েট বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষেও তিন বছর কাজ করার সুযোগ পান। এই প্রক্রিয়াকে স্থায়ী নাগরিকত্বপ্রাপ্তির কর্মসূচি হিসেবে ধরা হয়।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৬১ হাজার শিক্ষার্থীর ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীরা দেশটিতে স্থায়ী নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ অথবা শেষপর্যায়ে রয়েছে এমন ৫২ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী নতুন নীতিমালায় উপকৃত হবেন।
কানাডার অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো বলেন, যাদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে অথবা শেষ হওয়ার পথে রয়েছে, তারা নতুন করে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারবেন। চাকরি খুঁজতে তারা আরও ১৮ মাস কানাডায় নির্বিঘ্নে থাকার অনুমতি পাবেন।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে কানাডায় রেখে দেয়াকে সবসময় অগ্রাধিকার দেয় দেশটির সরকার। কারণ শ্রমিক স্বল্পতা অভিভাসীদের দিয়েই পূরণ করে কানাডা। মহামারির কারণে এবার কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থী কম। স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে সম্প্রতি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছেন মেন্ডিসিনো।
তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের বার্তাটা পরিস্কার। আপনারা শুধু এদেশে পড়াশোনা করুন তা নয়, আমরা চাই আপনারা এদেশে থেকেও যান।
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অভিবাসী প্রত্যাশীরা কানাডায় আসতে পারেননি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন— বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ক পারমিটের এ উদ্যোগ কানাডার শ্রমবাজারে অনেকটা ঘাটতি পূরণ করবে।