রাঙামাটি প্রতিনিধি:কাপ্তাই উপজেলার নামধারী যুবলীগ নাছিরের যত অপকর্মের ফলে আদালতে মামলা আটক দন্ডপ্রাপ্ত আসামী পরিশেষে ভাই চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিস্কার করেছেন।
বিভিন্ন অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে ,২০১৮ সালে কাপ্তাই “প্রশান্তি” নামের বনবিভাগের পিকনিক স্পষ্ট জোরপুর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করে নেয় । পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের রাঙামাটি বনরুপা অফিসে ঐদিন দরপত্র দাখিল করতে পারেনি নাছিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর বাধা দেওয়ার কারনে । নাছির কাপ্তাই থেকে এসে সকাল থেকে ওৎ পেতে বসেছিল । চট্টগ্রাম থেকে আসা ৫/৬ জন ঠিকাদার প্রশান্তি দরপত্র দাখিল নাছিরের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনে বাধা দেয় । এসময় ঘটনাস্থলে দুইজন সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনায় ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক এবং স্থানীয় পত্রিকা নিউজ প্রকাশিত হয়।
অনুসন্ধান ও খোজনিয়ে জানাগেছে, নামধারী যুবলীগ নাছির “দরপত্র” ছিনিয়ে নেওয়ার পর প্রশান্তিকে যতই অপকর্ম শুরু করেছে । প্রশান্তিতে বসে নাছির রাতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অবৈধ কাঠ পাচার বনভুমি দখল চালিয়ে আসছে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে । তারই ধারাবাহিকতায় এসব অপকর্মের জন্য রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে মো. নাছির উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এ-সংক্রান্ত আদেশপত্র এসে পৌঁছায়। কাপ্তাইয়ের ইউএনও মুনতাসির জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মো.নাছির উদ্দিন কাপ্তাই উপজেলা নামধারী যুবলীগের সভাপতি পদে রয়েছেন।
গত ২৮ জানুয়ারি বন বিভাগের মামলায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসির উদ্দীনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন রাঙামাটির আদালত। এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। একই মামলার আরেক আসামি রাহুল তংচংগ্যা ওরফে বাবুল মেম্বারকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ, ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল আদালত-২-এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ পাল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘যেহেতু তাঁর (মো. নাছির উদ্দিন) বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলায় তিন বছরের সাজার একটি আদেশ হয়েছে, সে কারণে তাঁকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িক বরখা করেছে। বন বিভাগের প্রায় ৩০ লাখ টাকার বনজ সম্পদ আত্মসাতের একটি মামলায় জেল খেটেছেন তিনি।’
আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়, চুরির মামলার দন্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসীন থাকলে পরিষদের প্রতি জনসাধারণের শ্রদ্ধা ও আস্থা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হানিকর এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে মো.নাছির উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ২৮ আগষ্ট বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এ-সংক্রান্ত আদেশপত্র এসে পৌঁছায়। কাপ্তাইয়ের ইউএনও মুনতাসির জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মো. নাছির উদ্দিন কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে রয়েছেন।
এসব ঘটনায় প্রতিবেদক মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে নাছির বলেন ,এসব মিথ্যা মামলা দলীয় গ্রুপিং প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র । এই মামলা জেল খেটেছি আপিল করেছি । ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত শুনেছি আমি কোন নোটিশ পাইনি।