1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

কারাগার থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ১২ কর্মকর্তা বরখাস্ত

  • Update Time : রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০
  • ১৯০ Time View
কারাগার থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ১২ কর্মকর্তা বরখাস্ত

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ১২ জন কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র সুপার জাহানারা বেগম জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চন্ডীপুর এলাকার আবু বকর সিদ্দিক (৩৪) ২০১১ সালের ১৪ জুন থেকে এ কারাগারে ছিলেন। শ্যামনগর থানার একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুরের এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ২০০২ সালের ১৭ মার্চ এর একটি হত্যা মামলায় আদালত ২০০৬ সালে আবু বকরকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আসামির আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১২ সালের ২৭ জুলাই সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় লকআপের সময় বন্দিদের গণনাকালে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। এ ঘটনায় কারাগারের পক্ষ থেকে বিকালে জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

পড়ুন: আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবস

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, এর আগেও কয়েদি আবু বকর পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৫ সালের ১৩ মে কারাগারের সেল এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। পরদিন তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর তাকে কিছুদিন শিকল পরিয়ে রাখা হতো। এতে আবু বকর কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরে তাকে শিকল মুক্ত করা হয়। কারা চত্বরে তিনি অন্যবন্দিদের সঙ্গে কাজ-কর্ম করতেন। তবে মানবিক কারণে তাকে কাজের জন্য চাপ দেওয়া হতো না। বৃহস্পতিবারও কারাভ্যন্তরে অন্যদের সঙ্গে ছিলেন আবু বকর। সন্ধ্যায় লকআপের সময় গননাকালে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কারাগারের ৬টি ভবনের ২৪টি কক্ষে তার খোঁজ না পেয়ে বন্দিদের রুলকল করে আবু বকরের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। তাকে খোঁজা হচ্ছে। তবে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তিনি কারাগার থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছেন।

কারাগারের অপর একটি সূত্র জানায়, কারাগারের দেয়ালে থাকা আগাছা পরিষ্কার ও রয়ের কাজে ব্যবহৃত মই দিয়ে বৃহস্পতিবার যে কোনও সময় পালিয়ে যেতে পারে আবু বকর। কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় কারাগারের জেলার বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ কাজ করছে।

কারাগারের সিনিয়র সুপার জাহানারা বেগম জানান, কারাগার থেকে কয়েদি নিখোঁজ হওয়ার এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট ১২ কারা কর্মকর্তা ও কারা রক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়।

কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে কয়েদি বকর সিদ্দিক নিখোঁজ হয়েছে। তার সন্ধান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..