নিজস্ব প্রতিনিধি উত্তরবঙ্গঃ বগুড়ার কাহালু থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ে রহস্যজনক ও অত্যন্ত স্পর্শকাতর দস্যুতা মামলার রহস্য উদঘাটন করার পাশাপাশি আসামী গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
উক্ত মামলাটিকে স্পর্শ কাতর ও রহস্যজনক বলার কারণ হচ্ছে উদ্ধারকৃত মালামাল এর মধ্যে রয়েছে জমি-জমার মূল দলিল, অটো রিক্সার ব্যাটারি এবং বাদীর স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম সনদ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কাহালুর জামগ্রাম ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে গত ১৯ আগস্ট তারিখে মোঃ আঃ খালেক এর বাড়ীতে দস্যুতা সংঘটিত হয়। দুর্বৃত্তরা দস্যুতার পাশাপাশি তার অনেক স্পর্শকাতর জিনিস যেমন জমি-জমার মূল দলিল, তার স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম সনদ সহ আরো কিছু জরুরি ও স্পর্শকাতর মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। এরপর আব্দুল খালেক বাদী হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর তারিখে সদর থানায় জিয়ারুল ইসলাম ও আবু সাঈদ এর নামে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, মাননীয় পুলিশ সুপার বগুড়া জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা, বিপিএম-বার মহোদয় এর প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায়, সহকারী পুলিশ সুপার নন্দীগ্রাম সার্কেল এএসপি জনাব আহমেদ রাজিউর রহমান ও অফিসার ইনচার্জ কাহালু এর নেতৃত্ব সংঘটিত দস্যুতা মামলার আসামী ১। মোঃ জিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়া (৩৫), পিতা- মৃত কমর উদ্দিন, সাং- চকজগৎপুর, ২। মোঃ আবু সাঈদ (৩০), পিতা- মৃত রইচ উদ্দিন ওরফে কসাই গাটু, সাং- দেওগ্রাম দিঘীরপাড়, উভয় থানা- কাহালু, জেলা- বগুড়াদ্বয় কে বাদী মোঃ আঃ খালেক এর লুন্ঠিত সিমকার্ড ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করিয়া অপরাধ সংঘটনকালে গ্রেফতার করে এবং তাদেরকে জেল হাজতে সোপর্দ করে।
পরবর্তীতে আসামীদ্বয়কে কাহালু থানার দস্যুতা মামলায় পুনঃগ্রেফতার দেখিয়ে একদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জিয়া ও সাঈদ লুন্ঠনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তাহাদের সহযোগী অপর আসামীর নাম প্রকাশ করে।
পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে সহকারি পুলিশ সুপার রাজিউর রহমান ও অফিসার ইনচার্জ কাহালু থানার নেতৃত্বে কাহালু থানা পুলিশ এর একটি দল ১৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাত্রী ০১.১০ ঘটিকার সময় আসামী জিয়ারুল এর বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করিয়া বাদীর লুন্ঠনকৃত ০৭ (সাত) টি জমি-জমার মুল দলিল, ০১টি অটোভ্যানের পুরাতন ব্যাটারী, বাদীর স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম সনদ উদ্ধার করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার নন্দীগ্রাম সার্কেল এএসপি জনাব আহমেদ রাজিউর রহমান জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করিয়া আসামী মোঃ জিয়ারুল বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক সেচ্ছায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।