সর্দি-জ্বর নিয়ে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া ওই রিকশাচালকের বয়স ৫৮ বছর। তাঁর বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে ওই গ্রামকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওই ব্যক্তিকে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় রোগীর স্বজনেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাত নয়টার দিকে তাঁকে রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।
পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না, তা জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, মৃত ওই ব্যক্তির ভাতিজা ২২ মার্চ ইতালি থেকে গ্রামের বাড়ি আসেন। এরপর থেকে ভাতিজার সঙ্গে বসবাস ও চলাফেরা করতেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালাউদ্দিন মনজু সাংবাদিকদের বলেন, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। তবে কী রোগে তিনি মারা গেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আজ দুপুর থেকে ওই ব্যক্তির গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।