কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে বিল্লাল হোসেন (৪৮) নামে এক কৃষক নিহত হন।
সংঘর্ষে ছয় পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সোমবার (০৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল হোসেন সান্দিয়ারা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। তিনি কৃষক ছিলেন। ঘটনার পরপরই কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন ও ডাসা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দুলাল শেখের শিল্পপতি ছেলে মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে সোমবার সকালে সান্দিয়ারা বাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুই পক্ষের লোকজন।
সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে সুমনের পক্ষের বিল্লাল হোসেন গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের কয়েকজনকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মশিউল আরেফিন রনি বলেন, নিহতের দেহে রাবার বুলেট পাওয়া গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।