স্পোর্টস ডেস্ক: বিরাট কোহলির ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটছেই। চলতি বিশ্বকাপে আগের চার ম্যাচে ২টি ফিফটি, একটি সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচেই হাঁকিয়েছেন শতকটি। এবার তুলে নিলেন আরেকটি হাফসেঞ্চুরি।
কোহলির ফিফটিতে ভর করে জয়ের দিকে ছুটছে ভারত। তবে নিউজিল্যান্ডও হাল ছাড়ছে না। দুইশর আগে (১৯১ রানে) ভারতের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে তারা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৮ রান। কোহলি ৬৩ আর রবীন্দ্র জাদেজা ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
ভারতের লক্ষ্য খুব বড় নয়, ২৭৪ রানের। উদ্বোধনী জুটিতে শুভমান গিল আর রোহিত শর্মা ৬৭ বলে তুলে দেন ৭১ রান। নিউজিল্যান্ড বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল। তবে ৫ রানের মধ্যে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে তারা।
৪০ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৪৬ করে পেসার লুকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হন রোহিত। ফার্গুসন নিজের পরের ওভারে এসে তুলে নেন আরেক ওপেনার গিলকেও (৩১ বলে ২৬)।
এর মধ্যে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হঠাৎ জেঁকে বসেছিল কুয়াশা। এমনই কুয়াশা, খেলা বন্ধ করা ছাড়া উপায় ছিল না।
ভারত ১৫.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান তোলার পর খারাপ আবহাওয়ার কারণে কিছুটা সময় খেলা বন্ধ রাখেন আম্পায়াররা। তবে কুয়াশা কেটে যাওয়ায় ফের খেলা শুরু হয়।
সেট হয়ে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন শ্রেয়াস আয়ার (৩৩)। ২৭ করে স্যান্টনারের বলে এলবিডব্লিউ হন লোকেশ রাহুল। এরপর বিরাট কোহলির ভুলে সূর্যকুমার যাদব রানআউট (২) হয়ে ফিরলে চাপে পড়ে ভারত।
এর আগে দলে ফিরেই বোলিং ঝলক দেখালেন মোহাম্মদ শামি। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং।
৪০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ২১৯। স্লগ ওভারে চোখ ধাঁধানো বোলিং করে ফাইফার (৫ উইকেট) তুলে নেন শামি। ফলে পুরো ৫০ ওভার খেললেও নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৭৩ রানে।
৬টি উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৫৪ রান তুলতে পেরেছে কিউইরা। তবু শেষদিকে ড্যারেল মিচেল কিছুটা রান বাড়িয়েছেন, বাকিরা কিছুই করতে পারেননি।
ধর্মশালায় এই ম্যাচে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করে শুরুতেই কিউইদের চেপে ধরেন ভারতীয় বোলাররা। ১৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নেয় তারা।
মোহাম্মদ সিরাজের বলে ডেভন কনওয়ে শূন্য রানেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ২৭ বলে ১৭ করা উইল ইয়ংককে বোল্ড করেন মোহাম্মদ শামি।
তবে শুরুর সেই বিপদ দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠেন রাচিন রাবিন্দ্র আর ড্যারেল মিচেল। ১৫২ বলে ১৫৯ রানের মারকুটে জুটি গড়েন তারা। অবশেষে ৩৪তম ওভারে এই জুটি ভেঙে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরালেন মোহাম্মদ শামি।
শামির অফকাটারের লোভে পড়ে লংঅনে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন রাবিন্দ্র। শুভমান গিল নেন সহজ ক্যাচ। ৮৭ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাবিন্দ্র।
এরপর টম লাথাম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কিউই অধিনায়ককে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন কুলদ্বীপ যাদব। ৭ বলে ৫ করেন লাথাম।
তবে দেখেশুনে খেলে ১০০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ড্যারেল মিচেল। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি ইনিংস। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একটি প্রান্ত ধরে ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে তিনি হন শামির শিকার। ১২৭ বলে ১৩০ রানের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি আর ৫টি ছক্কা হাঁকান মিচেল।
শামি ৫৪ রান খরচায় নেন ৫টি উইকেট। ২টি উইকেট শিকার কুলদ্বীপ যাদবের।