স্পোর্টস ডেস্ক: চলে গেলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংগঠক এবং বিশিষ্ট মিডিয়া উদ্যোক্তা কাজী শাহেদ আহমেদ। তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ পদে ছিলেন। ছিলেন দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বড় সন্তান কাজী নাবিল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিন ছেলে,স্ত্রী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, আজ সন্ধ্যায় বাবাকে হারিয়েছি। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন। এখনো জানাজার সময় ঠিক করা হয়নি।
বিগত কয়েক বছর ধরে কাজী শাহেদ নানা রোগে ভুগছিলেন। দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ পৃথিবী ত্যাগ করলেন এই কৃতি সংগঠক।
৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে ঢাকা আবাহনীর হাল ধরেছিলেন কাজী শাহেদ আহমেদ। সেই থেকে অদ্যাবধি তিনি আবাহনীর সঙ্গেই রয়েছেন। তার তিন সন্তান কাজী নাবিল, কাজী আনিস ও কাজী ইনাম তিনজনই আবাহনী ক্লাবের পরিচালক। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে দুই সন্তান ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজী নাবিল বাফুফে সহ-সভাপতি পদে আছেন ২০০৮ সাল থেকে। ২০১৩ সাল থেকে কাজী ইনাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক।
কাজী শাহেদের মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ খ্যাতিমান লেখক ও ইংরেজি ভাষার দৈনিক সংবাদপত্র ঢাকা ট্রিবিউন এবং বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদপত্র বাংলা ট্রিবিউন এবং সাহিত্য পত্রিকা বেঙ্গল লাইটস-এর প্রকাশক।
কাজী শাহেদ আহমেদ ১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর তিনি ১৪ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন।
১৯৭৯ সালে তিনি জেমকন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। খবরের কাগজ ও আজকের কাগজ তার প্রতিষ্ঠিত দুটি দৈনিক পত্রিকা।
লেখালেখিতেও কাজী শাহেদ আহমেদ সোনালি স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থ ‘ঘরে আগুন লেগেছে’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। ২০১৩ সালে তেয়াত্তর বছর বয়সে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘ভৈরব’। আত্মজীবনী ‘জীবনের শিলালিপি’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। একই বছর প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘পাশা’।
২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘দাঁতে কাটা পেনসিল’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘অপেক্ষা’। ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে ‘ভৈরব’ এবং প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আত্মজীবনীর ইংরেজি অনুবাদ ও অন্যান্য গ্রন্থ।