আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্ভাব্য খরা মোকাবিলা ও খাদ্য ঘাটতি পূরণে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাষের কাজে মাঠে নামিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। বুধবার (৪ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি ও টাইফুনের কারণে সৃষ্ট খাদ্য সংকট পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কিম জং উন। যদিও গত বছরের শুরুর তুলনায় তাদের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো।
প্রায় প্রতি বছর খরা ও বন্যায় উত্তর কোরিয়ার কৃষিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেখানে সেচ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। তাছাড়া বাণিজ্য প্রায় বন্ধ ও অসংখ্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় ভুগতে থাকা দেশটিতে যেকোনো বড় প্রাকৃতিক দুযোর্গ অর্থনীতি পঙ্গু করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রোদং সিনমুন পত্রিকা জানিয়েছে, দেশটির খরা-প্রবণ অঞ্চলগুলোতে পাম্পিং সরঞ্জাম বিতরণ ও পানিসম্পদের উন্নয়নে কৃষকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কারখানার কর্মীরা।
দেশটি এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা নির্দিষ্ট করে বলেনি। তবে চলমান শুষ্ক মৌসুম ও সম্ভাব্য খরা মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
রোদং সিনমুনের খবরে বলা হয়েছে, আসন্ন খরা থেকে ফসলের ক্ষতি রোধ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং পুরো সক্ষমতা কাজে লাগাতে আক্রমণাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত সারা দেশে শুষ্ক আবহাওয়া থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছে স্থানীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ধারণা, করোনা মহামারি আঘাত হানার আগেই উত্তর কোরিয়ার ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ বা জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছিল এবং তাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন ছিল।
সূত্র: রয়টার্স