1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়

  • Update Time : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৫০ Time View

ওয়েব ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় পরিবারের আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনি মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন।

তবে কী মতামত দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছুই জানাননি আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, ‘আগের আবেদনের ধারাবাহিকতায় তার ভাই আবারও যে আবেদন করেছেন, সেই আবেদনের ব্যাপারে আমাদের আইনি মতামত দিয়ে আমরা এটি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আপনারা জানেন যে, এর আগেও যতবারই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইলটা গেছে। যেহেতু এটা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইলটা যাবে আমার যে মতামত সেটা কিন্তু এখন আপনাদের বলতে পারব না, এটার গোপনীয়তা রাখতে আমি বাধ্য।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মতামত দিয়েছি, এখন এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়ে দিয়েছি ফাইলটি ওনার কাছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল যাওয়ার পর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।’

‘আমি কিন্তু বারবারই একটি কথা বলেছি, ৪০১ ধারায় যে ছয়টি উপধারা আছে, সেখানে পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশনে (ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তি হয়, সেই দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ না থাকা) আবার বিবেচনা করার কিন্তু কোনো সুযোগ নেই।’

৪০১ ধারা নিয়ে আপনার আগের মতামতের ওপর স্থির (স্ট্যান্ড) আছেন কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্ট্যান্ড আর সিটিংয়ের কোনো ব্যাপার না এটা, আইনের যে ব্যাখ্যা, আমি আইনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, সে ব্যাখ্যার সাথে কোনোখানেই আমি দেখিনি তার জাজমেন্টে দ্বিমত আছে। আমার ব্যাখ্যাটাই আমি সঠিক বলে মনে করি।’

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ১৩ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার পরিপাকতন্ত্রে একাধিকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে।

খালেদা জিয়া হাসপাতালটির ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করেছে বলে জানানো হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

গত বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। প্রথম দফা মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে গত বছরের ২৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ থেকে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

এই মেয়াদও শেষ হয়ে আসলে গত সেপ্টেম্বরে পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার আবেদন করেন। কিন্তু সরকার সেই অনুমতি দেয়নি। বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে- আগের মতো এই দুটি শর্তে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে দেয়। এরপরও শামীম ইস্কান্দার বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে ফের আবেদন করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..