কোন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খাল দখল বা কোন অপরাধ প্রমাণিত হলে তার কাউন্সিলরশিপ থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় কোন কাউন্সিলর খাল দখল করেছেন, অবশ্যই সেই কাউন্সিলরের কাউন্সিলরশিপ বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি দখলের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেও কাউন্সিলরশিপ থাকবে না।’
আজ রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের স্লুইচ গেইট এলাকায় খিদিরখালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নতুন খনন করা খালের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘গত ১৬ মার্চ উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের এই জায়গায় এসে আমি লক্ষ্য করলাম, স্লুইচ গেইট এলাকার ডানে ও বামে খিদির খাল থাকলেও মাঝখানের কানেক্টিভিটি নাই। এটি ভরাট করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এরা অত্যন্ত শক্তিশালী। আমি গত মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এলাকার জনসাধারণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এটি ভেঙে দিয়েছি। এখানে খালের স্বাভাবিক গতি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় আমাকে এভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে জনগণের সহায়তা নিয়ে।’
আরও পড়ুন : আজ স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারছি : প্রধানমন্ত্রী
রাজউকসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতি নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনাদের মানসিকতা পরিবর্তন করেন। শুধু প্লট বরাদ্দ দিলে হবে না, ঢাকা শহরে ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। তারা একটার পর একটা প্লট বরাদ্দ দিয়ে দিচ্ছে অথচ কোন ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। খালের উপর বরাদ্দ দিচ্ছে – বিষয়টি ভাবতে হবে। খাল উন্মুক্ত রাখতে হবে। খাল ভরাট করলে চলবে না। সরকারি সকল সংস্থার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে কোন কিছুর অনুমতি দেওয়ার আগে সিএস ম্যাপ, আরএস ম্যাপ দেখুন, মহানগর জরিপ দেখুন তারপর চিন্তাভাবনা করবেন জায়গার বরাদ্দ দিবেন কি দিবেন না। আপনারা হুট করে দিয়ে দিবেন আর জনগণের ভোগান্তি হবে- এটা অত্যন্ত কষ্টকর। আপনারা সরেজমিনে এসে দেখে তারপর চিন্তাভাবনা করবেন কোথায় প্লট বরাদ্দ দেবেন।’
আরও পড়ুন : শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা