নিউজ ডেস্ক:
ঈদ আসতে আর মাত্র ১০ থেকে ১১ দিন বাকি। এরই মধ্যে অনেকের বাজার করা শেষ। ঠিক এই সময়ে এসে গরমমসলার দাম ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি।
আজ বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওবায়দুল আজমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সমিতি মসলার দাম কমানোর ঘোষণা দেয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে গরমমসলার আন্তর্জাতিক বাজার ও বাংলাদেশে আমদানি মূল্য পর্যালোচনা করা হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো গরমমসলার মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে তাঁরা একমত পোষণ করেন।
এ বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীনের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করে গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় বৈঠকের পর বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতি গরমমসলার মূল্যতালিকা ঘোষণা করে। তারা জানায়, খুচরা বাজারে এখন থেকে জিরা (ভারত) প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা, দারুচিনি (চীন) কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা, দারুচিনি (ভিয়েতনাম) কেজি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, লবঙ্গ কেজি ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা, এলাচি কেজি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা এবং গোলমরিচ (কালো) ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা দরে কেনাবেচা হবে। এ দর বর্তমান বাজারদরের চেয়ে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কম।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এই দরের চেয়ে কেউ বেশি দরে গরমমসলা বিক্রি করলে ভোক্তা অধিদপ্তর তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।ঘোষিত মূল্যতালিকায় স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ এবং মহাসচিব মো. আতিকুল।