সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য, ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী বহনকারী আন্তর্জাতিক মানবিক নৌ-অভিযান ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নৃশংস আক্রমণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ইউটিএলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনের প্রফেসর মো. বেলাল হোসাইনের সঞ্চালনায় ইউটিএলের সদস্য ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিবেক আজ নিশ্চুপ রয়েছে। বিশ্ব সংস্থা গুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী এগিয়ে আসছে না। গাজা উপত্যকাকে ইসরায়েল মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। সুমুদ ফ্লোটিলা বিশ্ববিবেককে জাগিয়ে তোলার জন্য নৌ-অভিযানে গিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই বিশ্ব মানবতা জেগে উঠুক, যেন আর কোনো শিশু, আর কোনো মা রক্তে ভেসে না যায়। ইসরায়েলের এই বর্বরতা থামাতে হবে।
বক্তৃতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষ কেবল মুসলমান বলেই আজ তাদের উপর ইসরায়েলঅমানবিক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এটি মানবতার জন্য চরম লজ্জাজনক একটি অধ্যায়। একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হয়েও ইসরায়েলআজ সারা পৃথিবীকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
তিনি সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, কিছু মানুষ সামান্য খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, অথচ ইসরায়েলসেটিও সহ্য করতে পারছে না। তারা এই মানবিক উদ্যোগকে বন্ধ করে দিয়েছে। আজ প্রশ্ন জাগে- কোথায় জাতিসংঘ? কোথায় ওআইসি?
ঢাবি প্রফেসর ড. মো. আবু সায়েম বলেন, দুই বছর ধরে গাজার মুসলমান ভাই-বোনদের ওপর ইসরায়েল যে বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে তা অকল্পনীয়। মুসলিম বিশ্ব আজ নিশ্চুপ, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। মানবতা ঘুমিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, যে চুক্তি ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা কার্যকর হলে তাদের স্বাধীন আবাসভূমির স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। আমি সেই চাপিয়ে দেওয়া চুক্তির তীব্র সমালোচনা করছি। বরং দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সহাবস্থানই এই সংকটের একমাত্র সমাধান হতে পারে।
মানববন্ধনে প্রফেসর এইচ এম মোশাররফ হোসেন বলেন, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে। এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পথে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সক্রিয় হতে হবে।