ওয়েব ডেস্ক: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের পাশে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের খোঁজ-খবর রাখা থেকে শুরু করে সব বিষয়েই পাশে থাকেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে দুই থেকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয় সে ঘটনায় আহতদের। তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০৪ জন আহতকে প্রতি মাসে চার লাখ ৬৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ২০০৯ সাল থেকে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিকে পরিমাণে কম থাকলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
তৎকালীন ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবা পারভিন সাভার থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশে যোগ দিতে। ছিলেন একেবারে অস্থায়ী মঞ্চের (ট্রাক) সামনেই। হঠাৎ শোনেন বিকট আওয়াজ। আর দেখেন ধোঁয়ার কুণ্ডলী। ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুঁশ ফেরে তার।
মাহবুবা পারভিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমার জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। প্রথমে আমাকে এককালীন ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়ের চেক দেওয়া হয়৷ পরে আরও ১০ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। শুধু প্রধানমন্ত্রীই আমাদের খোঁজ খবর নেন। আর কেউ নেন না। সেদিন যে সংগঠনের (স্বেচ্ছাসেবক লীগ) দায়িত্বে ছিলাম, সে সংগঠনের কেউই নেন না। মিরপুরের ১৩ নম্বরে এক হাজার ৪০০ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন রাশিদা আক্তার রুমা। চিকিৎসার জন্য ঘুরছেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। তিনি বলেন, দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মিরপুরে একটি ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। আর মাসিক পাঁচ হাজার করে টাকা দেওয়া হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। প্রথমে এককালীন ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের চেক দেওয়া হয়৷ পরে বাচ্চাদের জন্য ৫ লাখ টাকার এফডিআর করে দেওয়া হয়।
দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম ভয়াল একটি দিন ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী শাহাদাত বরণ করেন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। আহত হন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। আহত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অনেকে এখনও স্প্লিন্টারের আঘাত নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।