রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাজশাহীর ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন। বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেল সোয়া ৪টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর টিকাপাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে রাত পৌনে ৮টায় ভাষা সৈনিকের মরদেহ নগরীর ঐতিহাসিক ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। এতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
এসময় তার স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন, ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনের ছেলে আবুল হাসনাত বিদ্যুৎ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও কবি আরিফুল হক কুমার।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান, শাহ মখদুম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, শাহাদত হোসেন, নাইমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু প্রমুখ।
পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন।
এরপর শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যাথা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আবুল হোসেন। অসুস্থ হওয়ার পর তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে বিকেলে তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরিবার আরও জানায়, বহু আগে স্ত্রীকে হারিয়েছেন দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক আবুল হোসেন। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে নগরীর শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসায় বসবাস করছিলেন তিনি।
এদিকে প্রবীণ ভাষা সৈনিক আবুল হোসেনের মৃত্যুতে রাজশাহীর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।