স্পোর্টস ডেস্ক: এবার অবশ্য পারেনি বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের সিরিজে ঘরের মাঠে কিউইদের কাছে হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। কিন্তু ইতিহাস জানাচ্ছে, ঘরের মাঠে এবার ছাড়া আগের দুই সিরিজে কিউইদের চরমভাবে পর্যুদস্ত করেছিল টাইগাররা। প্রথমবার ৪-০ আর পরেরবার ৩-০ ‘তে একতরফা জিতেছে বাংলাদেশ।
ওই দুই সিরিজে খেলা হয়েছিল স্লো আর লো উইকেটে। বল ব্যাটে এসেছে মন্থর গতিতে। খানিক টার্নও করেছে। সেখানে বাংলাদেশের স্পিনারদের বলে কুপোকাত হয়েছে কিউইরা।
এবার অবশ্য ততটা স্লো ও লো ট্র্যাকে খেলা হয়নি। তাই এবার আর টাইগাররা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। মোটামুটি স্পোর্টিং পিচে খেলা হয়েছে। সেখানে শেষ হাসি হেসেছে নিউজিল্যান্ড ।
ওই তিন সিরিজ দিচ্ছে একটি পরিষ্কার বার্তা। তাহলো স্লো আর টার্নিং পিচ হলে বাংলাদেশ ফেবারিট। আর স্পোর্টিং কিংবা ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে নিউজিল্যান্ড ফেবারিট।
তাই যদি হয়, তাহলে আগামীকাল চেন্নাইয়ে কে ফেবারিট- বাংলাদেশ না নিউজিল্যান্ড? এবারের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সকে মানদণ্ড ধরলে অবশ্য নিউজিল্যান্ডই ফেবারিট। যে দল যাত্রাই শুরু করেছে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে। দ্বিতীয় খেলায় তাদের দাপটের সঙ্গে দাঁড়াতেই পারেনি নেদারল্যান্ডস।
অন্যদিকে বাংলাদেশ আফগানদের সাথে ৬ উইকেটে জিতলেও পরের ম্যাচেই ইংলিশদের কাছে চরমভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে। হেরেছে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে।
তারপরও কন্ডিশন বিবেচনায় আগামীকাল শুক্রবার চেন্নাইতে টাইগারদের পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। কারণ স্বাগতিক ভারত আর অন্যতম ফেবারিট অস্ট্রেলিয়ার খেলায়ই বোঝা গেছে, উইকেট ধীরগতির। এখানে হাত খুলে চটকদার মার মারা কঠিন।
পেসারদের বলও অন্যসব উইকেটের তুলনায় স্লো হয়ে ব্যাটে গেছে আর স্পিনারদের বল টার্নও করেছে বেশ। এক কথায় ভারতের স্পিনারদের বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা (৩/২৮) ও কুলদীপ যাদবের (২/৪২) ঘূর্ণি বলে কুপোকাত হয়েছেন ওয়ার্নার, স্মিথ, মার্শ, ম্যাক্সওয়েলরা।
১৯৯ রানে অলআউট হয়ে ৬ উইকেটে হেরেছে অসিরা। প্রথম দিকে মিচেল স্টার্ক আর হ্যাজেলউডের পেস তোপে বিপাকে পড়া ভারত শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে দুই প্রতিষ্ঠিত উইলোবাজ লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলির দৃঢ়তায়।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেই বোঝা গেছে, চেন্নাইয়ের পিচ সাড়ে তিনশো বা ৪০০ রানের উইকেট না। এই উইকেট শুধু ব্যাটারদের স্বর্গ নয়। বোলারদের বিশেষ করে স্লো বোলারদের সাহায্য করে বেশ। সেখানে সাকিব, মিরাজ আর শেখ মেহেদি হতে পারেন অনেক কার্যকর।
দল হিসেবে নিউজিল্যান্ড তুলনামূলক এগিয়ে। এবারের বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটাও দারুণ। সেই হিসেবে ফেবারিট কিউইরা। তবে এটুক বলা যায়, চেন্নাইয়ের পিচ টাইগারদের পক্ষে।
আচরণটা ভারত আর অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের মত থাকলে বাংলাদেরশর স্পিনাররা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। দেখার বিষয়, রবীন্দ্র জাদেজা আর কুলদীপ যাদবের কাজটা সাকিব, মিরাজ ও শেখ মেহেদিরা করে দিতে পারেন কিনা।
পাশাপাশি টাইগার ব্যাটারদের ব্যাটিংটাও হতে হবে ভালো। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর তাওহিদ হৃদয়রা কি সেই করণীয় কাজটা করতে পারবেন? বোলার আর ব্যাটাররা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলেই উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিউইবধের ভালো সুযোগ থাকবে এবার।