আমি যুদ্ধে যাচ্ছি শত্রুর বিরুদ্ধে
তবে এ মনুষ্য শত্রু নয়
নয় এ কোন হানাদার বর্বর জাতি
আমি যুদ্ধে যাচ্ছি, যুদ্ধে যাচ্ছি
মারাত্মক ভয়ংকর এক জীবাণুর বিরুদ্ধে।
মানুষ আজ বড় অসহায়
নেই খাদ্য, নেই চিকিৎসা,
নেই ভালভাবে বাঁচার নিশ্চয়তা
শুধু হাহাকার একটি বার বাঁচার।
আমিও সবার মত বাঁচতে চাই
বাঁচতে চাই অনেক বছর সকলের মাঝে
আমি কি পারবো বাঁচতে?
তোমরা কেউ বলতে পারবে?
পারবো কি নীল আকাশে
পতপত করে রঙিন ঘুড়ি উড়াতে?
আমি জানিনা কবে
মৃত্যু আমাকে গ্রাস করবে
তবে এটা দেখেছি
কিভাবে জীবাণু গ্রাস করেছে
এই বিশ্ববাজার।
যদি বেঁচে থাকি; যদি এবারের মত বেঁচে যাই
প্রভুর তরে জীবন বিলিয়ে দেব
হাসতে হাসতে আবার নীল আকাশে
উড়িয়ে ঘুড়ি বিশ্ববিজয় করবো।
আর যদি এ যুদ্ধে হেরে যায়; যদি আর না ফিরি
মৃত্যুকে যদি আলিঙ্গন করতে হয়
আসবেতো আমার জানাযায়?
শেষ দেখাটা হবেতো একবার?
দেখেছি এ যুদ্ধে আপনজনেরাও যাচ্ছে সরে
পিতা-মাতাকে কেউ যাচ্ছে রেখে দুরে
তবে এ কেমন বন্ধন; এ কেমন ভালবাসা
মনুষ্যত্বের কি আজ এত অধঃপতন
নেই কি কোন মানবতা, নেই কি কোন বিবেকতা,
নেই কি কোন আত্মা?
শুধু ভয়, ভয় আর ভয়
ভয়কে পারিনি করতে জয়
তাই বিলিয়ে মনুষ্যত্ব, বিবেক।
যদি জীবাণুকে হারাতে পারি
তবে এসো দাওয়াত রইল
আর না পারলেও দাওয়াত রইল
জানি না পারলে আসবেনা।
কারণ আমিতো মৃত
কেন আসবে আজ?
তবুও বলি আমার জানায়ায় এসো
এসে দেখো বাস্তবতা কি
কিভাবে যুদ্ধে হেরেও জিততে হয়
আর তোমরা! তোমরাতো আগেই মরে গেছ;
মরে গেছ নিজের কাছে।
দৈনিক প্রত্যয়/ সাহিত্য/ জাহিরুল মিলন