রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধানঃ
শুরুতেই জেনে রাখা দরকার, জামাই যেমন দুই প্রকার তেমনই, ঘরজামাই তিন প্রকার—
১। শ্বশুরমশাইয়ের সন্তান-সম। তাঁর আশ্রয়ে, আদরে খেয়ে-পরে থাকা। ইদানীং কম।
২। শ্বশুরের কাছেই থাকেন, কিন্তু নিজের রোজগারটুকু নিজের। আগে যেমন ছিল, এখনও তেমনই।
৩। শ্বশুরের পাশের ফ্ল্যাটে থাকা ঘরজামাই। সন্তানের জন্য আয়া রাখতে হয় না। ইদানীং খুব বেড়েছে।
এই তিন প্রকারের জামাই-ই ঘরজামাই। সিনেমা টিনেমায় যাই দেখুন না কেন, এই তিন শ্রেণির জামাইয়ের আদর আপ্যায়ন সাধারণ জামাইদের থেকে অনেক অনেক আলাদা।
যতই আদরের জামাইষষ্ঠী পর্ব থাকুক আসলে জামাইদের সম্মান খুবই কম। ঘরজামাইয়ের তো নেই-ই।
এমনি জামাই ভাল ভাল উপহার পেলেও, ঘরজামাইয়ের বেলা ব্যাপারটা হয়ে দাঁড়ায় অন্য রকম— শাশুড়ি তাঁর কর্তাকে বলেন, ‘‘ব্রজগোপালের লুঙ্গিটা ছিঁড়ে গিয়েছে, একটা এনে দিও। সঙ্গে একটা স্যান্ডো গেঞ্জিও।’’
ঘরজামাই কে সমাজের বোঝা হিসেবে দেখা হয়। আমাদের সমাজে খেয়াল করলে দেখা যায় যে, বেশিরভাগ ঘরজামাই রা নিজে কোনও কাজ-কর্ম করে না। এরা দিনরাত সবজান্তা সমসের সেঁজে বিভিন্ন চায়ের দোকানে নিজ বয়সের চেয়ে কমবয়সী বেকার ছেলেদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় পার করে। কারণ তার সমবয়সী লোকজন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে তাদের সেসব সময় নেয়। ঘরজামাই রা বেকার হবার দরুন তাদের সাথে লজ্জায় মিশতে পারে না।
এভাবে চলতে চলতে একসময় এরা লজ্জাহীন হয়ে পরে। রাস্তাঘাটে বিভিন্ন মানুষের দ্বারা অপমানিত হয়। তাই আমাদের উচিৎ ঘরজামাই না থেকে কাজকর্ম করে নিজের পায়ে নিজে দাড়ানো।