1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

টাকা ছাড়া মিটার পরিবর্তন ও ট্রান্সফারমার বসান না প্রকৌশলীারা;প্রকৌশলীদের অনিয়ম দুর্নীতির থামছে না রাঙামাটি বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ড

  • Update Time : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৮০ Time View

চৌধুরী হারুনুর রশীদ: প্রকৌশলীদের অনিয়ম দুর্নীতির থামছে না রাঙামাটি বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ড,টাকা ছাড়া মিটার পরিবর্তন করে না ও ট্রান্সফারমার বসান না প্রকৌশলীরা। উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল মামলার ভয় দেখিয়ে প্রি মিটার পরির্তন করে প্রায় শতাধিক মিটার পরির্বতনের বিপরীতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ৪টি এলাকার ৫০টির অধিক তথ্য প্রমান প্রতিবেদকের কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
বিভিন্ন গ্রাহকদের লিখিত অভিযোগের ভিক্তিতে তথ্য ভয়েন্স রের্কড সংশ্লিষ্ট শৃংখলা পরিদপ্তর ও প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে অবগত করা হলে সম্প্রতি দুইজন সহকার প্রকৌশলী বদলী করেন।

সংশ্লিষ্ট অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ছরওয়ার কামালকে দিয়ে অবৈধ কার্যক্রমকে বৈধতা নিতে নিবার্হী প্রকৌশলীর মদদ রয়েছে বলে কর্মচারীদের অভিযোগ। সব ধরনের নিয়ম বর্হিভুত বিদ্যুৎ অবৈধ কাজ উপ-সহকারী সরওয়ার কামাল দিয়ে বৈধতা দিয়ে আসছে ।

সম্প্রতি বিলাইছড়ি পাড়ার বাদিচাদ চাকমা জানায়,৫০ কিলো.ট্রান্সফারমার নষ্ট হলে রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ অফিসে ২য় তলার ৪নং রুমে নিবার্হী প্রকৌশলীর কাছে গেলে ৩০ হাজার টাকা দাবী করায় একদিন পরে আসতে বলেন। পরের দিন নিবার্হী প্রকৌশলীর রুমে নিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবী করলে শ্রমিকদের বেতন ব্যতীত জোর করে ১৫ হাজার টাকা নিবার্হী প্রকৌশলীর হাতে দিয়েছে বাদিচাদ চাকমা প্রতিবেদককে জানায় ।
রাঙামাটি সদরে মানিকছড়ির আলমগীর জানায়, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল তার দোকানে বিদ্যুৎ বকেয়া থাকায় মামলার ভয় দেখিয়ে ছাগল বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল জমা না করে উল্টো তার বাসার লাইন সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। স্থানীয় মনির মিটার পরিবর্তনে টাকা,সাপছড়ি সুর্বণ চাকমা, বিমল কান্তি চাকমা মিটার পরির্বতনে টাকা নেয়। ঘিলাছড়ি সুরুজ বিদ্যুৎ মিটার লগ করে নগদ প্রথম ৭ হাজার টাকা অফিসে গিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। আলাউদ্দীনের মিটার পরিবর্তনে মামলার ভয় দেখিয়ে ছাগল বিক্রি করে ১১ হাজার টাকা পুবের্র বিদ্যুৎ বিল বাবদ নিয়েছে ১৩ হাজার টাকা ছরওয়ার কামালকে কতুকছড়ি শাহ আলম থেকে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছে মিটার বসার জন্য কিন্ত বাসার বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন করে ২১ হাজার টাকার মামলা দিয়েছে পরে নিজেই আগ্রাবাদ গিয়ে জরিমানা পরিশোধ করে আসছি। কুতুবছড়ির মহিউদ্দীন দোকানেরর জন্য মিটার আবেদন করার কথা বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে অফিসে গেলে ১৪ হাজার টাকা নগদ নিয়ে বাসার লাইন বিছিন্ন করে।

সাবেক সহকারী প্রকৗশলী আদিলুজ্জমান স্বাক্ষর না করা ফাইলগুলো অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অবৈধকে বৈধতা কার্যক্রম শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সহকারি প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জমান শীতলের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। পূর্বে তারিখ দেখিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক ফাইল অবৈধভাবে বেক ডেইট স্বাক্ষর দিয়ে বৈধতা বা অনুমোদন করার অভিযোগ আছে।
ইতিমধ্যে তথ্য অধিকার আইনে ‘ক’ ফরমে ও আপীল “ গ” ফরমে আবেদন করে (পিডিএফ ফাইলে) সন্তোষজনক তথ্য পাওয়া যায়নি।

এসব প্রকৗশলীদের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে একাধিক পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে , এখনো অনুসন্ধান তথ্য ও অভিযোগ সংগ্রহ করা অব্যাহত রয়েছে বলে জানাগেছে ।
কর্মচারীদের সুত্রে ও জনশ্রæতিমতে জানাগেছে,রাঙামাটি ষ্টোর কিপার অতিরিক্ত দায়িত্বে দিয়েছেন দেড় লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে নির্বাহী প্রকৌশলী। তিনি আবার নির্বাহী প্রকৌশলী রাঙামাটি শহরে গুরুত্বপুর্ণ এলাকার ফিডারগুলির আর্থিক সুবিধা নিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ছরওয়ার কামালকে।

২৬ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি সুখী নীলগঞ্জ পাড়া থেকে বিদ্যুৎ তার চুরি অভিযোগ উঠেছে ।তারগুলি কোথায় কিভাবে চুরি হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী কে ছিলেন। তবে চুরি ঘটনায় মামলা বা এজাহার করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহেদ ইমতিয়াজ(২৭) বাদী হয়ে ৩জনকে আসামীকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় অভিযোগ করেন ২৬/০৯/২০২৩ তারিখ। অভিযোগে ৪৩ কেজি তার মুল্য উল্লেখ করেছেন ৩৯ হাজার টাকা। তার আগেও রাঙামাটি শহরে আসাম বস্তি সড়কে বিলাইছড়ি পাড়ায় তার চুরির অভিযোগ করেন স্থানীয় মেম্বার । ঐসব তার তড়িৎম্যান গিয়াস উদ্দীন ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ রাঙামাটি অফিস থেকে কোন তার চুরি বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় না ।

এই বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহেদ ইমতিয়াজ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ছরওয়ার কামালকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে কল রিসিভ করেন নাই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..