বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের নৌকার নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি মঙ্গলবার ভোর রাতের কোন এক সময় উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শালেরহাটে অবস্থিত আ.লীগ প্রার্থীর নৌকার অফিসে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. বনি আমিন বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শালেরহাটে অবস্থিত নৌকার অফিসে নির্বাচনী কার্যক্রম শেষ করে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। সকালে ঐ ওয়ার্ডের সভাপতি তোহিদুল ইসলাম মুঠোফেনে আমাকে জানায় কে বা কারা আমার নৌকা প্রতীকের
অফিসে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আগুনে অফিসের চেয়ার-টেবিল, ব্যানার ও পোস্টার পুড়ে গেছে।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আহসান হাবীবের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম ও তার শ্যালক মানিক হোসেন ইউনিয়নের বাসডাঙ্গা এলাকায় ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে তারা দোষ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান তাদের দুইজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
বনি আমিন বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্যই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আহসান হাবীব বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কাজ করছে। আমরা ধারণা করছি, আহসান হাবীবের লোকজনই আমার নৌকার অফিস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করব।
এদিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আহসান হাবীবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব জঘন্য কাজ আমরা কখনও করি না। কারও অফিসে আগুন দিয়ে কখনও ভোট পাওয়া যায় না। ভোট তো দেবে জনগণ। আমরা জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছি। আ.লীগের লোকজনই তাদের অফিসে আগুন দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই, প্রশাসন এই ঘটনা সুষ্ঠভাবে তদন্ত করুক। আমি যদি দোষী হই, তাহলে যে শাস্তি দেয়া হবে তা মাথা পেতে নেব।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, নৌকার অফিসে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠানো হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।