বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: প্রকাশনা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা বিস্তারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বইমেলা ২০২৫। আট দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলা উন্মুক্ত থাকবে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, প্রতিবছর সারা দেশে যে একুশে বইমেলা হয়, এবছর মাহে রমজান ও নির্বাচনের কারণে সেটি আগিয়ে আনতে হয়েছে। গত বছর আমরা প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে বইমেলার আয়োজন করেছিলাম। এবার আমরা গতবারের তুলনায় আরও বৃহৎ পরিসরে, বেশি জায়গা নিয়ে আয়োজন করেছি। শুরুতেই অনেক স্টল বসে গেছে। আমি আশা করি এবারের সাত দিনের এই বইমেলা অত্যন্ত জমজমাট হবে। বইমেলার উদ্দেশ্য আমরা সবাই জানি বই কেনা ও পড়াকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রকাশনী, প্রতিষ্ঠিত লেখক, পুরোনো লেখক ও নবীন লেখকদের একত্রে নিয়ে আসাও একটি বড় উদ্দেশ্য। আমি প্রত্যাশা করছি, এই বইমেলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠবে এবং বছর বছর এটি আরও সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত হবে, ইনশাআল্লাহ।
বইমেলার স্টলধারী নীরা ইসলাম বলেন, আমাদের স্টল মূলত মামুন লাইব্রেরি থেকে। এখানে নতুন এবং পুরোনো সব ধরনের বই সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। গত বছর আমরা স্টল দিয়েছিলাম, বিক্রি ভালো হওয়ায় এবারও স্টল দিয়েছি। আজ দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয়েছে, তাই এখনো মানুষ পুরোপুরি ভিড় করতে পারেনি। আশা করি সাত দিনের মধ্যে ভালো সংখ্যক ক্রেতা পাবো। আমাদের এখানে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষারই বিভিন্ন ধরনের উপন্যাসসহ সব ধরনের বই পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বইয়ের লেখক গোপাল রায় বলেন, আমি আশা করি সাহিত্যপ্রেমীরা অবশ্যই আসবেন এবং বই পড়বেন। কারণ আমরা জানি, সব কিছুর উপরে থাকে বই পড়া। আশা করা যায় আমরা পাঠক পাবো। শিক্ষার্থীরা আসবে, বই কিনবে, বই পড়বে। আমার এখন পর্যন্ত দুইটি বই প্রকাশিত হয়েছে একটি কার্বাইন কার্তুজ, আরেকটি অপুস্প যতি চিহ্নের স্মৃতিকা। এই দুইটি বইই এখানে পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, এবারের বইমেলায় মোট ৬১টি স্টল বসেছে। স্থানীয় স্টলের পাশাপাশি বেশিরভাগ স্টল ঢাকার প্রকাশনীগুলোর।