আল-আমিন হাছান, লালমনিরহাট: বাংলাদেশে বর্তমানে চা একটি প্রধান অর্থ উপার্জন কারি ফসল। তাই লালমনিরহাটের কৃষক চা আবাদ করা থেকে পিছিয়ে নেই। বর্তমান লালমনিরহাটে প্রায় ১২০ একর জমিতে চা আবাদ হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা জনাব আবু বক্কর। তিনি ২০১৮ সালে প্রায় এক একর জমিতে চা আবাদ করেছেন, যা বর্তমানে প্রতি ১৫দিন পর পর ৮০০০ টাকার সবুজ চা পাতা বিক্রি করছেন তিনি।
বাংলাদেশ চা বোর্ড হাতীবান্ধা শাখার উদ্যোগে তিনি চা আবাদ করেন তার নিজস্ব জমিতে। যা বর্তমানে তার সংসারে একটি প্রধান আয়ের মূল উৎস হয়ে দাড়িয়েছে।
চা বোর্ড হাতীবান্ধা শাখার প্রধান ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনাব আরিফ খাঁন বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে তার মাসিক আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে । তার চা আবাদিতে তিনি, তার স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তান কাজ করে বর্তমানে জিবিকা নির্বাহ করেন।
আবু বক্কর চা-চাষী আরও কিছু অংশ জমিতে চা আবাদ করার ইচ্ছা পোষণ করছেন। নতুন করে চা আবাদের জন্য তিনি জমি তৈরি করেছেন বলে জানায়। চা বোর্ড হাতিবান্ধা শাখা জানান আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তার জমিতে চা চারা রোপণ করা হবে।
আবু বক্কর চা-চাষী’র সাথে যোগাযোগ করে চা চারা সংগ্রহ করতে পারবেন লালমনিরহাটের কৃষকগণ। আবার সরাসরি বাংলাদেশ চা বোর্ড হাতীবান্ধা শাখার সাথেও যোগাযোগ করে চা চারা সংগ্রহ করতে পারবেন।