বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে ২ মেম্বার প্রার্থীর ভোটের ফলাফল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে হামিদুল ইসলাম (৬৪) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার, ৩ পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্য সহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে।এ ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ আসান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে টিউবওয়েল মার্কার মেম্বার প্রার্থী মাসুদ রানা বিজয়ী ঘোষনায় ফুটবল মার্কার প্রার্থী শাহ আলম ও তার কর্মী সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।তারা দায়িত্বরত পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে মালামাল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা চালালে বিক্ষুদ্ধ জনতা ভোটগ্রহন কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের উপর হামলা করে। এতে প্রিজাইডিং অফিসার তৌকির আহম্মদ সহ: প্রিজাইডিং দলিলুর রহমান, পুলিশের উপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, নায়েক করিমুল ইসলাম, কনষ্টেবল ঋষিকেশ রায় ও ৩ জন আনসার সদস্য আহত হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১৯ রাউন্ড গুলি বর্ষন করলে গুলিতে ফুটবল মার্কার সমর্থক হামিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও নিহতের ছেলে আবুল কাশেম, আবুল কালাম ও রফিক উদ্দীন নামে ৩ জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশী আতংকে আবুল কাশেম নামে একজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি পার্শবর্তী আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং নিহতের ছেলে আবুল কাশেমকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী ভোটের দিনের বিক্ষিপ্ত ঘটনায় পুলিশী হয়রানি না করার দাবি জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা অবধি থানায় মামলা হয়নি। তবে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফলাফল ঘোষনার পর এক পক্ষের মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা মারমুখি হয়ে পড়লে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ গুলি ছুড়ে। এতে হামিদুল ইসলাম নামে একজন মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।