প্রত্যয় ডেস্ক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা এলাকায় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। কিছুদিন আগেও বাজারে পেয়াজ সংকট দেখিয়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও। বর্তমানে কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়ে তা ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজার, গোগর বাজার, ভরনিয়া বাজার,কাউন্সিল বাজার এবং পৌর শহরের শিবদিঘী বাজার, শান্তিপুর বাজার,বন্দর গুদরি বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে খোজ নিয়ে জানা গেছে, পেয়াজ সর্বনিন্ম ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোন বাজারে আবার কিছু খুচরা ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে ১০০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি দাম রাখছে পেয়াজের।
তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে বাজারে বেশি দামে পেয়াজ বিক্রির কোন সুযোগ নেই। প্রশাসনের এমন নির্দেশনা থাকলেও হারহামেশায় পেয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পেয়াজের অতিরিক্ত দামের বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) প্রীতম সাহা জানান বাজারে পর্যাপ্ত পেয়াজ মজুদ রয়েছে। পেয়াজের দাম বেশি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতা যদি বেশি দামে পেয়াজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করে, সেক্ষেত্রে তাদের পেয়াজ বেশি দামে কেনার উপযুক্ত রশিদ বা কাগজ দেখাতে হবে। দোকানের সামনে প্রতিদিনের মুল্য তালিকা টাঙ্গাতে হবে। নাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আমরা স্থানীয় আড়ৎদারদের কাছে পেয়াজ নিয়ে খচুরা বিক্রি করি। তারা যখন যা দাম ধরে তা থেকে কেজি প্রতি সামান্য মুনাফা নিয়ে পেয়াজ বিক্রি করছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই ?
ভরনিয়া বাজারের কাচাঁমাল বিক্রেতা আব্বাস আলী, শিবদিঘীর রাজু, গোগরের রাজিব বলেন, স্থানীয় পাইকারদের নিকট বর্তমানে আমরা ৮৫ টাকা কেজি দরে পাইকারী কিনে ৫টাকা মুনাফা রেখে ৯০ টাকা দরে পেয়াজ বিক্রি করছি। তবে তারা ৮৫ টাকা কেজিতে পেয়াজ দিলেও কোন রশিদ আমাদের নিকট প্রদান করছে না।
তবে স্থানীয় আড়ৎদাররা বলছেন, এ ব্যবসা করেই তারা সংসার চালায়। ঠাকুরগাঁও জেলা আড়ৎ থেকে পেয়াজ নিয়ে এসে তারা যা দাম ধরে, তা থেকে দুই তিন টাকা মুনাফা রেখে আমরা স্থানীয় খুচরা পাইকারদের নিকট বিক্রি করি।
স্থানীয় আড়ৎদার নুর আলম বলেন, আমি ঠাকুরগাঁও সেলিম আড়ৎ থেকে ১২ বস্তা পেয়াজ ৮০ টাকা দরে ক্রয় করেছি। সেখান থেকে নিয়ে আসার খরচ সহ অন্যান্য খরচ মিলে কেজি প্রতি ৮২ টাকা পরে যায়। সে পেয়াজ আমি স্থানীয় খুচরা বিক্রেতাদের নিকট কেজি প্রতি ৮৫ টাকায় বিক্রি করি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলসি পেয়াজ বাজারে নেই। যা আছে তা দেশি পেয়াজ। এছাড়াও তার কাছে পেয়াজ বেশি দামে কেনার রশিদ কাগজ রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
রিপোর্টঃ বদরুল ইসলাম বিপ্লব