ওয়েব ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল ডাটা সোনার চেয়েও দামি। মূল্যবান ডাটা সম্পদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জরুরি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ফলে কাগজের তথ্য এখন ডাটায় রূপান্তরিত হচ্ছে। ডাটা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী
সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকার একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) উদ্যোগে আয়োজিত ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানা তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এক সময় ক্লাউড বলতে কোনো ধারণা ছিল না। এখন সবকিছু ডিজিটাল হয়ে গেছে, এখন ক্লাউডের কোনো বিকল্প নেই। সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি। তাদের জন্য এ রকম একটি কর্মশালা অত্যন্ত জরুরি ছিল উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আমাদের প্রত্যেককেই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তরুণ সাংবাদিকরা ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের আয়োজিত এই কর্মশালা নিজেদের স্মার্ট হওয়ার সুযোগ তৈরিতে কার্যকর অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জ্ঞানভিত্তিক সাম্য-সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগাতে হবে। সচেতনতার অভাব ও অতিলোভে অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ন্ত্রণহীনতার অন্যতম কারণ ছিল। বর্তমানে সে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি ঘটাতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে এক বছরের পাঠক্রম শিক্ষার্থীরা অনায়াসে তিন মাসে শেষ করতে পারছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজবপন করে গেছেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে জাতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তিনি শুরু করেছেন।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা স্মরণ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ রকম একটি ঘটনা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান রবিন এবং ওপেনস্ট্যাক বাংলাদেশের কান্ট্রি অর্গানাইজার মোবারক হোসাইন।