সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আজ সোমবার রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম।
গণপরিবহনের সঙ্গে রাস্তায় পথচারীর সংখ্যাও অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম রয়েছে। এদিকে জননিরাপত্তায় রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
আজ (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, মগবাজার ও মালিবাগ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। গাড়ি ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশ তল্লাশি করছে। বিভিন্ন মোড়ে বাসগুলোকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অর্ধেক কিংবা অর্ধেকের কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলছে অধিকাংশ গণপরিবহন। বাসগুলোতে দাঁড়িয়ে যাত্রী চলাচলের দৃশ্য নিত্যদিনের হলেও আজ বাসগুলোতে এ চিত্র দেখা যায়নি।
রাজধানীর শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ী তোফাজ্জল মিয়া বলেন, ‘জনমনে এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের ভীতি দূর হয়নি। ওরা যেকোনো সময়ে হামলা চালাতে পারে। সেই ভয়ে শেখ হাসিনার রায়ের দিনে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়নি আজ। শাহবাগে পা ফেলানোর জায়গা পাওয়া যায় না, সেই জায়গা এখন করোনাকালীন লকডাউনের মতো ফাঁকা হয়ে আছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, তারা জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। আজ সকাল থেকে ঢাকার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, রায় ঘোষণার এই দিনটিকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সকাল থেকে ঢাকার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ঢাকাবাসীর নিরাপত্তায় রাজধানীতে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশির নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গতকাল রোববার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তেজগাঁও টার্মিনাল এলাকায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ।