নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী ১৭ জুলাই চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১৮ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ জুন। এ আসনে যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তার মেয়াদকাল হবে ৫ মাস। অর্থাৎ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই মেয়াদ শেষ হবে এই উপনির্বাচনে নির্বাচিত এমপির। তবে আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, এই আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। এ আসনে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছে অন্তত এক ডজন নেতা। এরমধ্যে রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গন ও সংস্কৃতি অঙ্গনের দু-একজন ব্যক্তির নামও শোনা যাচ্ছে। তবে সকল নাম ছাপিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কাদের খানের নাম রয়েছে সবার শীর্ষে।
এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে এমএ কাদের খান স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। দুর্দিনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক নৌকার কাণ্ডারি হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নিজের শক্ত অবস্থান তিনি তৈরি করেছেন। যে কারণে গুলশান, বনানী, কড়াইল বস্তি, ক্যান্টনমেন্ট ও ভাসানটেকের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা এমএ কাদের খানকেই ঢাকা-১৭ আসনের নৌকার কাণ্ডারি হিসেবে দেখতে চান।
দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, নেতা হিসেবে এমএ কাদের খান সেরা। কর্মীদের যে কোনো সমস্যায় তাকেই সবার আগে পাওয়া যায়। দলের যে কোনো কর্মসূচিতে তিনিই সবাইকে সংগঠিত করেন। এলাকার কোনো সমস্যায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঢাকা-১৭ আসনে এমএ কাদের খানকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে নীতিনির্ধারণী ফোরামের কাছে বিশেষ অনুরোধ সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের। তাদের আশা তিনিই পারবেন সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণ ও নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে। আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুখোড় নেতা, ’৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি ’৮৬ ও ’৯০-এর স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক তিনি।
কয়েক দিন ধরে এমএ কাদের খান ঢাকা-১৭ আসনের আওতাধীন এলাকাগুলোতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন ও গণসংযোগ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করছেন ও তার পক্ষে স্লোগানে মুখরিত করছেন গণসংযোগস্থল।
ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে এমএ কাদের খান বলেন, “রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলের প্রতি শতভাগ আনুগত্য থেকে ত্যাগ স্বীকার করে এখন পর্যন্ত দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, এবার দল এবং প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিরাশ করবেন না। তারপরও দলের হাইকমান্ড যার প্রতি আস্থা রাখবে, তার হয়েই আমি কাজ করে যাব।”
কাদের খান আরও বলেন, “এ আসনের প্রতিটি এলাকার সামাজিক কাজে আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। ’৮৬ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে দীর্ঘদিন কারাবরণ করি। ’৯০-এর আন্দোলন করতে গিয়ে মহাখালী থেকে আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেলখানায় ছিলাম।
২০০১ ও ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও দীর্ঘদিন কারাবরণ করি। সেই সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ম্যানেজার সিরাজুল আলমকে গুলি করা হয়। সর্বোপরি এ আসনটি পরিকল্পিত উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই নেতা।”