স্পোর্টস ডেস্ক: সংবাদ সম্মেলন ডেকে চোখের জলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। জানিয়েছিলেন, লম্বা সময় ধরে ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও এর একদিন পরেই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন অধিনায়ক তামিম। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর অবসর ভাঙার ঘোষণা দেন এই ওপেনার।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে তামিমের এমন সাক্ষাতের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তজা। পরবর্তীকে প্রধানমন্ত্রীকে তামিম জানান, বিশ্বকাপের মূল আসরে মাশরাফিকে মেন্টরের ভূমিকাতে দেখতে চান তিনি। সেই আবদারে সায়ও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে অবসর-মেন্টরের আলাপ ছাপিয়ে মাশরাফির বড় হতাশা দুর্বল চিত্তের তামিমকে নিয়ে।
বুধবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে তামিমের অবসর প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘তামিমের ওপর কী গিয়েছে, তামিম ঠিক ততটা আমার সঙ্গে শেয়ার করেনি। তবে আমি সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছি তামিমকে দুর্বল দেখে। ও একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, ওর পক্ষেও অনেকে কথা বলেছে। সাধারণভাবে তামিম এটুকু লড়াই করতে পারবে না, তা আমার কাছে মনে হয়নি। তবে কখনো কখনো মানুষ ভেঙে পড়ে, তখন মানুষের সহায়তা প্রয়োজন হয়।’
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরেই ফিরে আসার কথা জানিয়েছেন তামিম। আর এই বিবেচনায় তাকে ভাগ্যবান বলে উল্লেখ করেছেন ম্যাশ, ‘আমি বলব, তামিম খুব ভাগ্যবান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকেছেন, কথা বলেছেন এবং তাকে ক্রিকেটে ফিরিয়ে এনেছেন। এই সৌভাগ্য সবার হয় না।’
অবশ্য এসবের পরেও তামিমের ফিরে আসা নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকেই যায়। বিশেষ করে, নিজের পুরাতন ইনজুরি পাশ কাটিয়ে তামিম আসলেই ফিট হতে পারবেন কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। আর মাশরাফি মনে করেন, চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার পরই মাঠে ফেরা উচিত তামিমের, ‘এখন যে জিনিসটা হচ্ছে, ওর ইনজুরি ওকে ভোগাচ্ছে। তামিম পারফর্ম করছে না, কেন করছে না? তার কারণ হচ্ছে ইনজুরি। তাহলে কী করা উচিত? ওর ইনজুরিটা ঠিক করে আসা উচিত। ওর এখন উচিত, ইনজুরি নিয়ে চিন্তা করা। ফিট হয়ে এলে আমি নিশ্চিত ও অটোমেটিক রান করবে আর আগের পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে।’
বিশ্বকাপে মাশরাফিকে তামিম চাইছেন মেন্টর হিসেবে। সে ইস্যুতেও কথা বলেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। সহজ ভাষাতেই জানালেন, মেন্টরের কাজ সম্পর্কে ধারণা নেই তার, ‘ মেন্টরে কী লাভ হয়? আমাকে একটু বলতে পারবেন? আমি জানি না, ও (তামিম) কেন চাচ্ছে! মেন্টর জিনিসটা তো… অন্য জিনিস। মেন্টরের কাজটা কী আমি জানি না।’