প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১৬৪১ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৯১ জন।
আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো জানতে পড়ুনঃ
ভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার তাণ্ডব চলছেই। প্রতিনিয়ত অচেনা এই ভাইরাসটি কেড়ে নিচ্ছে হাজারো প্রাণ। সংক্রমণের তালিকাতেও যোগ হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের নাম। তবে উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও।
করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিছেন ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৬২ জন।
করোনায় থেকে সুস্থতার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সবচেয়ে বিপর্যস্ত এই দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৯ লাখ ২২ হাজার ৫৭৪ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৬ জন।
অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৭৬ জন।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৮ জন।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৭ জন।
চিলিকে টপকে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে পেরু । দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৭ জন।
৭ম অবস্থানে রয়েছে চিলি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৮ জন।
৮ম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৭২ জন।
৯ম অবস্থানে রয়েছে ইরান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ জন।
১০ম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্থান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩০১ জন।
করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন