প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রকোপে বিপর্যস্ত ইউরোপ। চেক রিপাবলিকের পরিস্থিতিও খুব উদ্বেগজনক। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী এমন কাজ করলেন, সচারচর যেটা অন্য নেতাকে করতে দেখা যায় না। তিনি দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন। তাও পাঁচবার।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনার প্রকোপ মোকাবিলার মুখে পড়েছেন চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিস। স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি ও তার সরকার করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে কিছু ভুল করেছেন। কঠোর লকডাউন মেনে চলার জন্য তিনি দেশের মানুষকে অনুরোধ করেছেন তিনি। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর।
চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিস করোনা মোকাবিলায় নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি নতুন বিধিনিষেধের জন্য দুঃখিত। এর প্রভাব পড়বে ব্যবসায়ী, নাগরিক ও কর্মীদের ওপর। আমি আরও দুঃখিত এই কারণে যে আমার নেতৃত্বের কারণেই এটা ফের ঘটছে কারণ আমি ভাবতে পারিনি আবারও এটা ঘটতে পারে।’
ইউরোপের অন্যান্য দেশের বাজে অবস্থার মুখে পড়ার মধ্যে চেক নেতার এমন ক্ষমা চাওয়ার খবর আসলো। জার্মানি আর পোল্যান্ডে দৈনিক নতুন সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। কারফিউ আরও বিস্তৃত করেছে ফ্রান্স। এ দিকে কঠোর লকডাউন আরোপের প্রস্তুতি নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। অন্যান্য দেশের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া শেষ হিসাব অনুযায়ী স্থানীয় সময় বুধবার স্পেন ও ফ্রান্স; উভয় দেশে মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া আর আর্জেন্টিনার পর এই দুটি দেশে এখন মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দশ লাখের বেশি।
দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ ঠেকাতে চেক প্রজাতন্ত্রে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। মানুষ অবাধে চলাচল করতে পারছে না। অপ্রয়োজনীয় দোকান ও সেবা সমূহ বন্ধ থাকবে। আর নতুন এই বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে তা আরও বাড়তে পারে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার থেকে মাস্ক পরার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নগর অঞ্চল এমনকি গাড়িতেও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক। এর আগে অনেকদিন ধরেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের বিপক্ষে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এদিকে দেশটিতে গতদিন নতুন করে ১৫ হাজারের বেশি করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।