ধর্ম ডেস্ক: জুমার দিন খুতবার আগেই মসজিদে চলে যাওয়া উচিত। জুমার আজানের পর দুনিয়াবি কাজকর্ম করার ব্যাপারে কোরআনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা: ৯)
তাই জুমার আজান হয়ে গেলে মসজিদে চলে যাওয়া, সব দুনিয়াবি কাজ বন্ধ করে দেওয়া কুরআনের সরাসরি নির্দেশে ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য।
এরপরও কোনো অসুবিধা বা জরুরি ব্যস্ততার কারণে কেউ যদি জুমার জামাতে গিয়ে দেখেন ইমাম প্রথম রাকাত শেষ করে দ্বিতীয় রাকাতের রুকুও করে ফেলেছেন, তাহলে তিনি যে অবস্থায় ইমামকে পাবেন সে অবস্থায়ই শরিক হয়ে যাবেন। ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর উঠে দাঁড়িয়ে দুরাকাত জুমা আদায় করবেন।
ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মতে জুমার নামাজের দ্বিতীয় রাকাতও না পেলে, শুধু শেষ বৈঠক পেলে অর্থাৎ ইমাম সালাম ফেরানোর আগে জামাতে শরিক হতে পারলেেই সেটা জুমা গণ্য হবে। ইমাম সালাম ফেরানোর পর মাসবুক হিসেবে দুই রাকাত জুমা পূর্ণ করতে হবে।
মুক্তাদি তাশাহুদ পড়ার আগে যদি ইমাম সালাম ফেরান, তাহলে মুক্তাদি নিজে তাশাহুদ পূর্ণ করে বাকি নামাজের জন্য দাঁড়াবেন।