ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলবে এই ট্রেন।
আগামী ২৬ মার্চ ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে নতুন একটি ট্রেন চালু করার ঘোষণা করল দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নতুন এই ট্রেনের ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের শহর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত চলবে এই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। তবে ট্রেনের নাম এখনো ঠিক হয়নি। আগামী ২৬ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন হওয়ার কথা।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দুইটি ট্রেন চলে এখন। একটি কলকাতা থেকে ঢাকা এবং অন্যটি কলকাতা থেকে খুলনা। কলকাতা-ঢাকা ট্রেনটির নাম মৈত্রী এক্সপ্রেস। কলকাতা-খুলনা ট্রেনটির নাম বন্ধন এক্সপ্রেস। তবে নতুন ট্রেনটি উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকাকে যুক্ত করবে। এই রুটে এর আগে দুই দেশের মধ্যে কোনো ট্রেন ছিল না। ৫৫ বছর আগে উত্তরবঙ্গে দুই দেশের মধ্যে একটি রেল লাইন ছিল। যা হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুট নামে পরিচিত ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই লাইনে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। গত ডিসেম্বরে ফের ওই লাইনে মালগাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। ২৬ মার্চ থেকে সেই লাইনেই চলবে প্যাসেঞ্জার ট্রেন।
ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন ট্রেনটিতে ১০টি বগি থাকবে। মাঝে কোনো স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াবে না। প্রায় ৫১৩ কিলোমিটার রাস্তা একবারে অতিক্রম করবে ট্রেনটি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পাকশি ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার মোহাম্মেদ শহিদুল ইসলাম উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি আসেন। তাঁর সঙ্গে এসেছিল আটজনের প্রতিনিধি দল। শিলিগুড়িতে নতুন ট্রেনটি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয় ভারতের কাটিহার ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রবীন্দ্রকুমার ভার্মার।
রবীন্দ্রকুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই রুটে নতুন করে ট্রেন চললে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। দেশভাগের আগে এই রুটে নিয়মিত ট্রেন চলতো। শাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ট্রেন দুই দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত করবে।
উত্তরবঙ্গের পর্যটন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই রুটে ট্রেন চালু হলে সহজেই বাংলাদেশের নাগরিকরা হিমালয়ে যেতে পারবেন। দার্জিলিং এবং সিকিমে পৌঁছানো তাঁদের পক্ষে অনেক সহজ হয়ে যাবে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে।