স্পোর্টস ডেস্ক: ফুটবলে হরহামেশায় দেখা যায় জাতীয়তা বদলে অন্য দেশের হয়ে খেলতে। ক্রিকেটেও এই সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। এবারের বিশ্বকাপে এমন কয়েকজনই আছেন, তবে তাদের ভেতর অন্যতম রুলফ ভান ডার মারওয়ে।
২০০৯ সালে জোহানেসবার্গে জন্ম নেওয়া মারওয়ের অভিষেক হয় প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে। এরপর ২০১৫ সালে জাতীয়তা বদলে হয়ে যান ডাচ।
এবার সেই ডাচদের হয়েই স্বদেশের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে যখন খেলছেন তখন ২০১১ সালে অপ্রত্যাশিতভাবেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। সেই স্মৃতি মনে করে মারওয়ে বলেন, ‘২০১১ সালে আমি খুব হতাশ হয়েছিলাম প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পেয়ে। তবে অবশেষে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ না মিললেও প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। ডাচদের হয়ে খেলার ব্যাপারে এই বা হাতি স্পিনার বলেন, ‘অবশ্যই আমার মা ডাচ। সেখান থেকেই আমার ডাচদের হয়ে খেলার সুযোগটা এসেছে। তখনকার দক্ষিণ আফ্রিকা দলে আমি তেমন সুযোগ পাচ্ছিলাম না তখনই আমি সিদ্ধান্ত নেই ডাচদের হয়ে খেলার। আমার পরিবারও আমাকে এটাতে সহযোগিতা করেছে।’
স্বদেশের বিপক্ষে খেলার ব্যাপারে মারওয়ে বলেন, ‘এটা অন্যসব ম্যাচের মতই মনে করছি আমি। আমি বিশেষ ম্যাচ মনে করে এদিন নামবো না। অবশ্যই আমরা জয়ের জন্য খেলতে নামবো।’
৫০ ওভার ক্রিকেট বা হাতি স্পিনারদের কদর বেশ। তিনি বলেন, ‘সবাই বলে ৫০ ওভারের ম্যাচে বা হাতি স্পিনাররা তেমন কার্যকরী নয় কিন্তু এখন বা হাতি স্পিনার, ফিঙ্গার স্পিনাররাও প্রভাব ফেলছে ম্যাচে। তারা অনেক প্রভাব ফেলছে দলের হয়ে। বিশ্বকাপেই দেখুন না! স্যান্টনার, সাকিব আল হাসান, জাদেজাকে।’