এই পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য চাহিদার সংখ্যা গণনা করে শেষ করা যাবে না। কিন্ত ৩ টি মৌলিক চাহিদা পূরণ না হলে মানুষের বেঁচে থাকাটাই মুশকিল। (কোভিড-১৯) সচেতনতার পাশাপাশি এই তিনটির মধ্যে প্রথম সিরিয়াল হলো, অন্য অর্থাৎ খাদ্য। একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে কখনও একটি বারের মতো যাচাই করেছেন কি??
আপনি দৈনন্দিন কতটা ভালো মানের নিরাপদ খাদ্য আহার করে জীবন যাপন করছেন? মনে রাখবেন, ভোক্তা হিসেবে নিরাপদ খাদ্য পাওয়া আপনার অধিকার। খাদ্যের সাথে ভেজাল মিশিয়ে যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে,তাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য আইন সঠিক ভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব রয়েছে, তাঁরা দায়িত্বহীনতা, উদাসীনতা না হয়ে দ্রুত এই আইন প্রয়োগ করা জরুরী। আমরা ভোক্তারা সচেতন এবং সোচ্চার না হওয়ার কারনেই সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগ নিচ্ছে। এই কারনেই খাদ্যের ভেজাল রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এই অবস্থার যদি ইতিবাচক ভাবে পরিবর্তন ঘটানো না যায়,তাহলে এর ফলাফল খুবই স্বাস্থ্য’র জন্য ভয়ানক এবং বিপজ্জনক হবে। সময় মতোই মানুষ তা হাড়ে হাড়ে টের পাবে।
সুতরাং খাদ্য-দ্রব্যাদিতে ভেজাল এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মেশানো রোধে বিভিন্ন গণমাধ্যম সহ সকলের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আশা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজন এই ব্যাপারে জন সচেতনতা অনেক বৃদ্ধি করা। সর্বশেষে একটি কথা বলতে চাই যে, ফলমূল বা খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল রোধে সর্বাগ্রে প্রয়োজন নিজ নৈতিকতা বোধকে অনেকাংশেই জাগ্রত করা। নিজ বিবেককে জাগ্রত করে এবং বিভিন্নভাবে পর্যবক্ষেণ করেই খাদ্য-দ্রব্যাদি ক্রয় করতে হবে।
আমি চাই খাদ্যে ভেজাল কারীর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি’র বিধান।
[লেখক; ডা. জসিম তালুকদার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’র সদস্য, সমন্বয়কারী বৃহত্তর চট্রগ্রাম জেলা,ও সভাপতি চট্রগ্রাম দক্ষিণ জেলা,
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
সংবাদ প্রতিনিধি, জেলা/দক্ষিণ জেলা]