প্রত্যয় নিউজডেস্ক: মধ্য-এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানের প্রধানমন্ত্রী কুবাতেক বোরোনোভ পদত্যাগ করেছেন। দেশজুড়ে নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে রাজনৈতিক বিশৃ্ঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।
নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে রাজপথে নেমে এসেছে বিক্ষোভকারীরা। তারা ভোট বাতিলের দাবি জানিয়ে সোমবার দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর ও কিছু অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে, দেশটির ভোটের ফলাফল বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত রোববার দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বোরোনোভ এবং দেশটির পার্লামেন্টের স্পীকার দাস্তান জুমাবেকোভ মঙ্গলবার রাজধানী বিশকেকে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
সাদির জাপারোভ প্রধানমন্ত্রী বোরোনোভের স্থলাভিষিক্ত হবেন। একদিন আগেই এই নেতাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এর আগে বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
চারদিক থেকে ব্যাপক চাপের কারণেই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুনোরবাই জিনবেকোভের দলীয় জোট বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর পরিমাণে ভোট কেনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকার পদত্যাগ করলেও বহাল তবিয়তে আছেন প্রেসিডেন্ট সুনোরবাই জিনবেকোভ। তবে প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত আছেন।
এর আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন যে, শক্তিশালী নেতাদের হাতে তিনি দায়িত্ব অর্পনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে তিনি কার কথা ইঙ্গিত করেছেন বা কে এই পদে যোগ্য সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট সুনোরবাই জিনবেকোভের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কাগজপত্র জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলছেন। ভবনের কিছু অংশে আগুন জ্বলতেও দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এদিকে, বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবেয়েভকেও মুক্ত করেছে। দুর্নীতির দায়ে কারাভোগ করছিলেন তিনি।