সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোংলা বন্দরে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীর মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বুধবার (১২এপ্রিল) বন্দর ভবন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাষ্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশন ও মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে মোংলা বন্দরে জাহাজে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের ওই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী উপস্থিত থেকে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন ও মোংলা কাষ্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুলতান হোসাইন খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বার্থ ও শিপ অপারেটর এসোসিয়েশন ও মোংলা কাষ্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিকের জন্য উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, ১ কেজি পোলাও চাল, ২ কেজি ডাল, ২কেজি চিনি, তেল ১ লিটার, সেমাই ২ প্যাকেট, সাবান ১ পিস, গুড়ো দুধ ৫০০ গ্রাম, লবন ১ কেজি করে মোট ১৮ কেজি।
এসময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনার ফলে মোংলা বন্দরে এখন স্বর্ণ যুগ চলছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে মোংলা বন্দরে থেকে ঢাকার দুরত্ব ১০০ কিলোমিটার কমে গেছে। এখন মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টায় মোংলা বন্দর থেকে পণ্য ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। রেল চালু হলে বন্দরের সহ্মমতা আরও বাড়বে। সরকারের সদিচ্ছায় বন্দরকে ঘিরে নানা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। শ্রমিক কর্মচারীই এই বন্দরের বড় শক্তি। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরও এগিয়ে নিতে হবে মোংলা বন্দরকে।