ওয়েব ডেস্ক: পরীমণিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই সিন্ডিকেটে আরও কে আছেন তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। এছাড়াও পরীমণি রিমান্ডে থাকার সময় যে তথ্য দিয়েছেন সেগুলোর যাচাই-বাছাই চলছে। তাকে নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করলে আরও বেশকিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তফা এসব কথা বলেন।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু শুনানিতে বলেন, যেহেতু এই মামলায় মাদকের পরিমাণ বেশি। আবার নতুন মাদক এল এস ডি ও আইস পাওয়া গিয়েছে। তাই পূর্বে রিমান্ডে থাকাকালে যে তথ্য উপাত্ত দিয়েছেন সেগুলো উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
শুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আবু বলেন, মহিলা আসামিদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করা হয়। পরীমণি মামলায় মাদকের পরিমাণ বেশি। তাই এক্ষেত্রে জামিনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে চিত্রনায়িকা পরীমণির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এদিন সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে পরীমনিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এরপর সাড়ে ১১টার দিকে নেওয়া হয় আদালতের কাঠগড়ায়। কাঠগড়ায় উঠেই কাঁদতে থাকেন পরীমনি। বারবার তাকে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।