পর্তুগালে স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি সকল অভিবাসীদের দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া হবে হচ্ছে হবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির সরকার।
প্রথম প্রক্রিয়াটি হলো- অনিয়মিত অভিবাসী যারা ১৫ অক্টোবরের পূর্বে (SEF) এন্ট্রি করেছেন তাদেরকে নিয়মিতদের মতোই সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
নতুন করে যারা আবারও ১৬ অক্টোবর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইমিগ্রেশন বর্ডার সার্ভিসে নথি লিপিবদ্ধ করেছেন তারা ও বৈধদের মতো সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে বলে ঘোষণা করেন পর্তুগাল সরকার। ফলে পর্তুগালে বসবাসকারী অবৈধদের ভ্যাকসিন পেতে আর কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতা থাকছে না।
অপরদিকে দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটি হলো- সকল অভিবাসীদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটটিতে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই শুধুমাত্র নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর এবং ন্যাশনালিটির তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সফলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করা যাবে। তথ্যটি পর্তুগাল সংসদে মন্ত্রী মারিয়ানা ভিয়েনা দ্য সিলভা নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সেবাটি নেয়ার জন্য চার হাজারেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অন্তনিও ভিটোরিনা বলেন, রাষ্ট্রগুলোর উচিত তাদের সীমানার মধ্যে থাকা সকল উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের টিকাকরণ এবং জনস্বাস্থ্যের বিবেচনা ভিত্তিতে টিকার যোগ্যতা নিশ্চিত করা, জাতীয়তার উপর ভিত্তি করে নয়।
পর্তুগালে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সরকার, যেখানে তেইশ লাখ নব্বই হাজার নয়শত আটচল্লিশ জনকে ১ম ডোজ এবং একশট্টি হাজার একশত আট জনকে সম্পূর্ণ ডোজ প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে।
চলতি মাসে দেশটির সরকার আশা করছে টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম আরও গতিশীলতা পাবে। দৈনিক ১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে গ্রীষ্মের শুরু বা মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগকে টিকা কার্যক্রমের আওতাভুক্তে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে পর্তুগাল সরকার।সূত্র:সংবাদ প্রতিদিন।