পশ্চিমবঙ্গ: করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে পিছিয়ে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের চার পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও আসানসোল-এই চার পৌরসভায় সভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। দীর্ঘদিন পর নিজেদের পৌর প্রতিনিধি বেছে নিচ্ছেন নাগরিকরা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১টা পর্যন্ত আসানসোলে ভোট পড়েছে ৪৬.৬ শতাংশ। শিলিগুড়িতে ভোট পড়েছে ৪৫.০১ ও বিধাননগরে ভোট পড়েছে ৪৫.৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে চন্দননগরে ৪১.৭৪ শতাংশ।
বিক্ষিপ্ত অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে দিয়েই ভোটগ্রহণের প্রথম চার ঘণ্টা শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
আদালতের নির্দেশ মেনে এবার বিধাননগর পৌরসভায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বুথগুলোতে যাতে কোভিড বিধি মানা হয় তার জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এদিকে ভোট ঘিরে বিধাননগরে প্রতিটি প্রবেশ পথে চলছে কড়া তল্লাশি। নির্বাচন কমিশন ভোটে প্রতিটি বুথকেই ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নত করেছে।
চার পৌরসভায় মোট ওয়ার্ড ২১৭টি । সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ড আসানসোলে, ১০৬টি। এছাড়াও শিলিগুড়িতে ৪৭, বিধাননগরে ৪১ এবং চন্দননগরে ৩৩টি। মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬২ জন। প্রত্যেক পৌরসভারর জন্য ৪ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং একজন বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিটি বুথের ভেতর-বাইরে থাকবে সিসিটিভির নজরদারি।
গত ২২ জানুয়ারি আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগর- এ চার পৌরসভায় ভোটগ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করে দেয় হাইকোর্ট। রাজ্যের বাকি পৌরসভায় ভোট পূর্বনির্ধারিত ২৭ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র: আনন্দবাজার