প্যারিস,ফ্রান্স : এবার পার্লামেন্টে বিল আনা হবে। বিলটির প্রস্তাবিত ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই। যেমন, মসজিদগুলিতে কীভাবে অর্থ আসছে, তা দেখা হবে। ধর্মীয় সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মাঝে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন। তিনি একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ফ্রান্স এখন চরমপন্থি মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে।
প্রস্তাবিত বিল নিয়ে তার বক্তব্য, কোনো পুরুষ যদি চিকিৎসকের কাছে যান এবং বলেন নারী ডাক্তারের কাছে তিনি চিকিৎসা করাবেন না, তা হলে পাঁচ মাসের জেল ও ৭৫ হাজার ইউরো জরিমানা হবে।
একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে নারীদের ক্ষেত্রেও। কোনো সরকারি কর্মকর্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করলে বা কোনো শিক্ষকের কাছে পড়তে না চাইলেও শাস্তি হবে।
এরপরেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। বিশেষ করে চিকিৎসক বা নার্সের কাছে চিকিৎসা নিতে অস্বীকার করলে জেলে যেতে হবে, বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই ব্যবস্থার সমালোচনায় মুখর হন নেটিজেনরা।
এদিকে বিলটি আনা হবে ডিসেম্বরে। ১৯০৫ সালে রাষ্ট্র থেকে চার্চকে আলাদা করতে আইন আনা হয়েছিল। সেই আইনকেই সংশোধন করে নতুন ব্যবস্থাগুলো ঢোকানো হবে।