প্রত্যয় ক্রীড়া ডেস্ক: আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিল পাকিস্তান, রাজত্ব করেছে দীর্ঘ ২৭ মাস। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষের পর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত, তারা জেতে ৩৩ ম্যাচের ২৯টিতেই, জয়ের হার ছিল ৮৭.৮৭ শতাংশ। কিন্তু গেল বছর ছন্দপতন হয় দলটির; হারে ১২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৮টিতে। তাতে এ মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ের চার নাম্বারে পাকিস্তান। তবে এতে মোটেও বিচলিত নন বাবর আজম। উল্টো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখ ‘আত্মবিশ্বাসে ভরপুর’ পাকিস্তানি এই অধিনায়কের।
বর্তমানে ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তান দল; খেলবে তিন ম্যাচের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সফরকারীদের সীমিত ওভারের অধিনায়ক বাবরের বিশ্বাস, ইংল্যান্ডে ভালো খেলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে তার দল এবং ভালো পারফর্ম করবে বিশ^মঞ্চেও। যদিও করোনাভাইরাস আতঙ্কে অনিশ্চয়তায় আইসিসির রঙিন এই টুর্নামেন্ট, তবে এখানেও ইতিবাচক থাকতে চান বাবর। পূর্ব নির্ধারিত ১৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে- এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
পাকিস্তানি অধিনায়ক তার বক্তব্য শুরু করেন এভাবে- ‘হ্যাঁ, আমরা কয়েকটি ম্যাচ হেরেছি এবং দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের র্যাঙ্কিং নেমে গেছে। এমনটা হওয়ার কারণ আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলাম এবং বেশ কিছু খেলোয়াড়কে খেলিয়েছিলাম। এখন আমরা আমাদের কম্বিনেশন নিয়ে নিশ্চিত, যেখানে তরুণ এবং অভিজ্ঞরা আছে। আমি নিশ্চিত, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা ভালো করব এবং র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করব। যদি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বিশ্বকাপ হয়, আমাদের দল ভালো করবে।’
সরফরাজ আহমেদের পরিবর্তে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া বাবর এখন পর্যন্ত ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। দুবার করে জয়-পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া এই অধিনায়ক বলেন, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার আশা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নির্ধারিত সূচিতেই হোক। পাকিস্তানি অধিনায়ক হিসেবে সত্যিই আমি চাই যে বিশ্বকাপ বিলম্বিত না হোক যেহেতু দলপতি হিসেবে এটাই আমার প্রথম বিশ্বকাপ।
২৫ বছর বয়সি বাবরের এখন শেখার বয়স। আর এমন সময়ে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে স্বদেশি লিজেন্ডদের পেয়েছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক হিসেবে আসেন মিসবাহ উল হক, ব্যাটিং কোচ ইউনিস খান, পেস বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস এবং স্পিন কোচ মুস্তাক আহমেদ। বাবরের বিশ্বাস, টিম ম্যানেজমেন্টে থাকা এমন অভিজ্ঞদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন তিনি।
পাকিস্তানি অধিনায়কের মতে, শুধু তিনিই নন, স্বদেশি লিজেন্ডদের পেয়ে উপকৃত হবে গোটা দল, ‘আমি এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা তাদের উপস্থিতিতে অনেক উপকৃত হবে। তারা চারজন আমাদের কাছে লিজেন্ড। তাদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়াটা আমাদের কর্তব্য এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা প্রত্যেকেই এটা করব… আমি তাদের কাছ থেকে অধিনায়কত্বের শিল্পটি শিখতে গভীরভাবে আগ্রহী।’
সাবেক কোচ মিকি আর্থার এবং বর্তমান কোচ মিসবাহর প্রশংসায় বাবর বলেন, ‘মিকি সত্যিই আমাকে সমর্থন করেছিলেন; আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছিলেন। যখন নতুন ছিলাম তখনও তিনি আমাকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করেছিলেন। তিনি আমাকে সর্বদা সমর্থন দিয়েছিলেন। তার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, তিনি আমার দক্ষতার ওপর প্রচুর আস্থা রেখেছিলেন। আমাকে বলতেই হবে, মিসবাহ ভাই ভিন্ন নন। তিনিও আমাকে সমর্থন করেন এবং আমার প্রতি আস্থা রাখেন। আপনার কোচ যখন আপনাকে বিশ্বাস করে তখন এটি সত্যিই সহায়তা করে।’