স্পোর্টস ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় যখন প্রতি ম্যাচেই হানা দিচ্ছে বৃষ্টি, তখন পাকিস্তানের মাঠে রানের ফোয়ারা। হাইব্রিড মডেলের এবারের এশিয়া কাপ একই টুর্নামেন্টে দেখছে দুই রূপ। অবশ্য রান বন্যার খেলা আপাতত আর দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ দিয়েই ইতি ঘটছে এশিয়া কাপের পাকিস্তান পর্বের। টুর্নামেন্টের বাকিসব ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অবস্থিত প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।।
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ম্যাচে যেমন রান দেখা গিয়েছে, তেমনি ছিল প্রচন্ড গরম। লাহোরের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। তার সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা আর দিবা রাত্রির সূচি সবমিলিয়ে খেলাটা একটু কঠিনই ছিল টাইগারদের জন্য। পেস বোলারদের জন্য সেটা আরও একটু বেশি কঠিন। তবে, বাংলাদেশ দলের তাসকিন জানাচ্ছেন এমন পরিবেশেও নিজেদের রিকোভারি ঠিকঠাকই করেছেন তারা।
দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘শুধু পেস বোলারদের জন্য না। যে কারো জন্যই এই কন্ডিশনে ক্রিকেট খেলাটা বেশ কঠিন। তাও যেহেতু এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের রিকোভারিতে বেশি খেয়াল রাখছি। একই সঙ্গে টিমের ফিজিও-ট্রেনার তারাও আমাদের অনেক সাহায্য করছে। আমরা আমাদের নিজেদের যথেষ্ট যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করেছি যেন আমরা সবাই সুস্থ থেকে খেলতে পারি। অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং তাও এর মধ্যেই সেরাটা খেলতে হবে। ’
গরমের কারণে ট্রেনিং সেশনও বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। সময় কাটিয়েছে রিকোভারির জন্য। তাসকিন সেটাও দেখছেন ইতিবাচক হিসেবেই, ‘এই বিরতিটা আসলে দেওয়াতে ভালো হয়েছে। কারণ আমাদের সামনে অনেক খেলা। সেকেন্ড রাউন্ডের তিনটা ম্যাচ, এর মধ্যে ট্রাভলিং আছে সামনে হোম সিরিজ প্লাস বিশ্বকাপ। লম্বা সময় সামনে খেলা আছে। এজন্য আমাদের মানসিক ও শারিরীক দুটারই বিশ্রামের দরকার আছে।’
বাংলাদেশ দলের এই পেসার আরও বলেন, ‘এই বিরতিতে আমরা কিছু টিম বন্ডিং এক্টিভিটিস করেছি। যে যার মতো জিম, রিহ্যাব সবকিছু করেছি। ওভার অল একটা ভালো রিকোভারি হয়েছে, যেটা দরকার ছিল। আশা করছি সামনের ম্যাচেও ভালো হবে।’
হিসেবের মারপ্যাঁচ পেরিয়েই সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে তাদের প্রথম পরীক্ষা পাকিস্তানের বিপক্ষে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। এই ম্যাচের পরেই দুই দল উড়াল দিবে কলম্বোতে। সেখানে ৯ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা। আর সুপার ফোরে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে।