1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পাবনায় জমি নিয়ে বিরোধ, পুকুরে বিষ ঢেলে ২’শ মণ মাছ হত্যা

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২
  • ২০৬ Time View

শেখ সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি:

পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ায় পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে। নিধনকৃত মাছের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে- পুকুরে মাছ চাষ ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে গতকাল বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মোমরাজপুর এলাকার দিপংকর হালদারের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী সাবেক মেম্বার রঘুনাথ হালদারের সঙ্গে দপংকরের বাবা দিলিপ হালদারের সঙ্গে জমি ও পুকুরে মাছ চাষসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা ছিল। এই শত্রুতার জেরে বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে দিপংকরের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে উঠে। পুকুরে পাঙ্গাস, রুই, কাতল, তেলাপিয়া, বাটাসহ বিভিন্ন জাতের আনুমানিক ২০০ মণ মাছ ছিল। সব মাছই মারা গেছে।

দিপংকরের বাবা দিলিপ হালদার অভিযোগ করে বলেন, রঘুনাথ হালদার ওই পুকুর আগে চাষ করতো। কয়েক বছর ধরে আমরা চাষ করি। এ নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই পুকুরের একাংশ জমি আমরা কিনে নিয়েছি। আরেক অংশ ইজারা নিয়েছি। ওই পুকুরের জমি কেনা নিয়ে রঘুনাথের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়। কয়েকদিন আগেই রঘুনাথ আমাদের হুমকি দেয় যে ‘ওই পুকুরে কি করে আমরা মাছ চাষ করি’। এই কথা বলার দুইদিন পরেই এ ঘটনা ঘটল।

এ বিষয়ে দিপংকর হালদার বলেন, আমি চারটা পুকুরে মাছ চাষ করি। বন্যার সময় হওয়ায় নদী সংলগ্ন তিনটি পুকুর থেকে মাছ তুলে বাড়ির কাছে এই পুকুরে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম- মাছগুলো এখন বিক্রি করে ঋণ শোধ করবো। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ আছে। এখন আমি পথে বসে গেলাম। কোনো বিবেকবান মানুষ এ ধরনের কাজ করতে পারে না?

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রঘুনাথ হালদার। তিনি বলেন, ওরা কি অভিযোগ করেছে আমি জানি না। কিন্তু আমার কথা, অন্যায় যে করেছে সে সাজা পাবে, আইন তার বিচার করবে। আমি এসব করি নাই। ওরা যা করতেছে তাই করুক, আমার কোনো অভিযোগ নেই।

এ বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..